নির্মাণের চার বছরের মাথায় চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাটে এম এ মান্নান ফ্লাইওভারের র্যাম্পের দুটি পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এদিকে নকশা ও নির্মাণগত ত্রুটির কারণে পিলারে ফাটল দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
যানজট নিরসনে নগরীর শুলকবহর থেকে বহদ্দারহাটের এক কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত উড়াল সড়ক নির্মাণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
২০১০ সালে এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। ২০১২ সালে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৪ জন মারা যায়। পরে নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৩ সালে এর উদ্ধোধন করা হয়। উদ্ধোধনের পর উড়াল সড়কটি কার্যকর না হওয়ায় যানজট নিরসনে র্যাম্পটি নির্মাণ করে ২০১৭ সালে খুলে দেওয়া হয়। চার বছরের মাথায় দুটি পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
নকশা কিংবা নির্মাণে গাফিলতি এ দুটি কারণে পিলারে ফাটল দেখা দিতে পারে বলে জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই র্যাম্প নির্মাণকারী ঠিকাদার কোম্পানি ম্যাক্স গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের ভাষ্য, মূল ডিজাইনে এই র্যাম্পটি ছিল না। পরে সংযুক্ত করেছে। যেহেতু এটা হালকা যানবাহনের জন্যই করা, তাই অতিরিক্ত ভারী গাড়ি চলাচল করায় এ অবস্থা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন একটা হাইট ব্যারিয়ার বসিয়ে দেব। যাতে ভারী গাড়ি উপরে উঠতে না পারে। এজন্য সিডিএকে চিঠি দেব। যেহেতু মূল প্রজেক্ট উনারা করেছেন। উনাদের একটা সাজেশন তো লাগবে। মূল ডিজাইনের ভিত্তিতে একটা সাজেশন দেবেন উনারা। আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করব।
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত পিলার দুটি পরিদর্শনে আসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র। নির্মাণগত ত্রুটি আছে উল্লেখ করে যে কোনো দুর্ঘটনা রোধে র্যাম্পের উপর দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিটি মেয়র।