প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১, ৩:৪৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় চলতি সপ্তাহের স্মরণকালের আকস্মিক বন্যায় উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে চরাঞ্চলে থাকা আমন ধান ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এখনো বালু ও পানিতে ডুবে আছে অনেক খেত। এতে করে এ উপজেলায় ধান উৎপাদনে ঘাটতি হওয়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে এ উপজেলার মানুষ খাদ্য সংকটে পরবে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, যদি আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া না যায় তাহলে এ উপজেলায় খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। বন্যার পানি নেমে না যাওয়ায় চরাঞ্চলের রোপা আমন, বাদাম, শাকসবজিসহ অনেক ফসলের খেত এখনো পানির নিচে ডুবে আছে। ক্ষতি কিভাবে পুষিয়ে নিবেন এই চিন্তায় কৃষক পরিবারগুলোর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের বাগেরহাট এলাকার কৃষক নুরল ইসলাম (৫২) জানান, তার ১০ বিঘা, আব্দুল হাই (৫৬) জানান, তার ৩ একর, নুর ইসলাম (৬৮) জানান, তার ২.৫ একর জমির আমন ধান এখনো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।
গঙ্গাচড়া কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে বাদাম ৩০ হেক্টর, মরিচ ১০ হেক্টর , শাকসবজি ২৫ হেক্টর, আমন ধান ১৬৫৫ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মাহবুবুর রহমান জানান, চলতি সপ্তাহের বন্যায় রংপুর জেলায় এখনো ২৬৫০ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ক্ষতির পরিমান নির্ধারনে কাজ চলমান রয়েছে।
বন্যায় কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির কথা জানিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে বিকল্প ফসল লাগিয়ে কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ভোরের পাতা/অ