প্রকাশ: বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১, ৮:২২ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নয়া কমিটিতে এলাকার এক চিহ্নিত মাদক সেবী, ছাত্রদলের নেতা ও বিবাহিতকে রাখা হয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এদিকে বুধবার সকালে কোলাপাড়া ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটির আনন্দ মিছিলে মাদক সেবী নূর নবী অন্তুসহ বিতর্কিত পদধারীদের দেখা গেছে।
জানা গেছে, গত ১৬ অক্টোবর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তর্ণক লিজু ও সাধারণ সম্পাদক আবির রায়হান সৈকতের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কোলাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। সভাপতি মো. রিজন হোসেন, ১নং সহ-সভাপতি নূর নবী অন্তু, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান (অঙ্কুর) ও মো. অভিকে যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট কোলাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রীগের কমিটি ঘোষনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে সহ-সভাপতি নূর নবী অন্তু এলাকায় মাদক কেনা বেচার সাথে জরিত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মো. অভি বিবাহিত পুরুষ হিসেবে সুপরিচিত পরিচিত।
এনিয়ে ছাত্রলীগ সাবেক এক নেতা ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেন অভি বিবাহিত ১ কন্যা সন্তানের জনক। এছাড়া আরেক স্ট্যাটাসে সাবেক ওই ছাত্রলীগ নেতা লিখেন সহ-সভাপতি নূর নবী অন্তু এর আগে মাদক সেবন ও রাখার দায়ে কারা ভোগ করে। তিনি জেলা ছাত্রলীগের দৃষ্টি আর্কষন করেন। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নূর নবী অন্তু মাদকসহ গ্রেফতার হয়। তৎকালীন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যতন মার্মা মোবাইল কোর্ট বসিয়ে কারাদন্ড প্রদান করেন। সে সময় বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদের শিরোনাম হয়। অন্তুর বিরুদ্ধে এলাকায় এখনো মাদকের সাথে সম্পৃক্ত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে শ্রীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তর্ণক লিজুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কমিটির বিষয়ে আমরা কোলাপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে নাম চাইলে তারা আমাদের কাছে এদের নাম দেয়,যাচাই বাছাই না করাতে এখন বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ আসছে এদের বিরুদ্ধে। যাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আসছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, কোলাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নয়া কমিটির সভাপতি মো. রিজন হোসেন এর আগে ২০১৬ সালে কোলাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের অনুমোদিত কমিটির সদস্য ছিলেন। সদস্য পদ নং ১৪। এছাড়া ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান (অঙ্কুর) ব্রাক্ষণপাইকাশা গ্রামের মাদক কারবারি বাদল মিয়ার ছেলে।