কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শুরু হবে সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। সব জেলা, মহানগর, উপজেলায়ও একই কর্মসূচি থাকবে।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের নেতারা সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনেও যাবে।
দুর্গাপূজার মধ্যে গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা শহরের একটি মন্দিরে কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাংচুর চালানো হয়। এরপর চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনীসহ কয়েকটি জেলায় মন্দিরে হামলা হয়, তাতে নিহত হয় অন্তত ছয়জন।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ‘জরুরি সভা’য় এসব কর্মসূচি ঠিক হয় বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এই সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছিলেন সভাস্থলে।
আওয়ামী লীগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “শেখ হাসিনা দলের সব নেতা-কর্মীকে দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তৎপরতা প্রতিরোধ করার নির্দেশনা প্রদান করেন এবং যে কোনো মূল্যে বাংলাদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে।
“বাংলাদেশ যখন বিশ্ব সভায় একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ঠিক সে সময়ে একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। সরকার ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করেছে। ইতোমধ্যে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে এবং বাকিদেরও আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম উপস্থিত ছিলেন।