রাত পোহালেই সারা দেশে শুরু হচ্ছে গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষার অন্যতম কেন্দ্র জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
ইতোমধ্যেই গাজীপুর, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন দূরবর্তী স্থান থেকে পরীক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করেছে। এই সুযোগে শিক্ষার্থীদের পকেট কাটতে উঠে পড়ে লেগেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশের হোটেল ব্যবসায়ীরা।
স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অধিক দামে খাবার বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। এতে বিপাকে পড়েছে দূর থেকে আগত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা গিয়েছে, প্রায় দ্বিগুণ মূল্য রাখা হচ্ছে প্রতিটি খাবারের। ডিম, মাছ, মুরগি, গরুর গোশতসহ প্রতিটি আইটেমের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বারবার সতর্ক করলেও তা কানেই নিচ্ছেন না হোটেল মালিকরা। প্রতিটি হোটেলে খাবারের যথার্থ মূল্য তালিকা রাখার নির্দেশনা থাকলেও, অধিকাংশ হোটেলে নেই মূল্য তালিকা সংবলিত চার্ট।
কনজ্যুমার ইউথ বাংলাদেশ (CYB) -এর জাককানইবি শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য আহসান হাবিব বলেন, খাবারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য হয়রানি মূলক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ থাকায় এবং ক্যাফেটেরিয়ায় বেশী সংখ্যক শিক্ষার্থীদের খাবারের সুবিধা না থাকায় বাহিরের হোটেলগুলোতেই খেতে হচ্ছে ভর্তিচ্ছুদের।
এই সুযোগে অবৈধ সিন্ডিকেট করে হোটেল মালিকরা খাবারের দ্বিগুণ মূল্য রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত বিষয়টি নজরে নিয়ে যথার্থ পদক্ষেপ গ্ৰহণ করা।
খাবারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি কিভাবে দেখছেন এবং এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, খাবারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যেই অবগত হয়েছি এবং বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি।
ভর্তি পরীক্ষার সময় খাবারের মূল্য বৃদ্ধি না করার জন্য আমরা আগেই হোটেল মালিকদের অনুরোধ জানিয়েছি।
আজ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি হোটেলগুলো পরিদর্শনে যাবে এবং যথার্থ পদক্ষেপ গ্ৰহণ করবে।
ভোরের পাতা/অ