শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
৩০ লাখ শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না: নৌপ্রতিমন্ত্রী
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: রোববার, ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১০:৪৭ এএম | অনলাইন সংস্করণ

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টায় জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কারণ ৩০ লাখ শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। এতো আত্মত্যাগ কখনো বিফলে যেতে পারে না।

শনিবার (০৯ অক্টোবর) বিকেলে দিনাজপুর জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেনের নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে। বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তি পালন করছি, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দেশ পরিচালনা করছি। এ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে হবে। এ স্বাধীনতার সুখ তখনই অনুভব করি, যখন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করি, পঞ্চগড় থেকে ট্রেনে ঢাকা যাই, সৈয়দপুর থেকে বিমানে কক্সবাজার যাই, বিশ্ব দরবারে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মানিত হন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারো মুক্তিযুদ্ধের জায়গায় ফিরে গেছে। বাংলাদেশের সন্তানেরা এখন মুক্তিযুদ্ধ চর্চা করে, মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে চায়, জানতে চায়। বঙ্গবন্ধুকে জানতে চায়। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে মিথ্যাচার হয়েছে, সে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ এখন অবস্থান নিয়েছে। যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, তখন তরুণ প্রজন্ম শাহবাগে অবস্থান নিয়েছিল। অপরাধীদের বিপক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। আমরা এ জায়গা থেকে প্রেরণা পাই।

পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের প্রসঙ্গ তুলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিজয়ী জাতিকে পরাধীনতার অন্ধকারে তলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। খুনি-অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য সংবিধানকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এবং এটা ধারাবাহিকভাবে পরিচালিত হয়েছে। আমরা দেখেছি, মুক্তিযোদ্ধাদের জায়গায় কুখ্যাত শাহ আজিজকে বসানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাংলাদেশে পুনর্বাসিত করা হয়েছে, পুরস্কৃত করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে অপরাধ যারা করেছে, তাদের মন্ত্রী বানানো হয়েছে। রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাহাত্তরের সংবিধানকে ধর্ম দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। বাংলাদেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করি, লালন করি, হৃদয়ের মধ্যে রাখতে পারি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের যে কর্ম, সে কর্মের সঙ্গে আমরা সম্পৃক্ত হতে পারবো। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবো।



ভোরের পাতা/কে 




« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]