প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১, ৩:৩৬ পিএম আপডেট: ০৭.১০.২০২১ ৩:৪১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
খুলনায় সাড়ে ২২ কোটি টাকার কোকেন মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ এবং আরও ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় দুজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও এক লাখ টাকা জরিমান করা হয়েছে। এ ছাড়া সোহেল রানাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা, আরিফুর রহমান ছগিরকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা, অনাদায়ে আরও ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল, এরশাদ ও ফজলুর রহমান ফকিরকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ আগস্ট রাত পৌনে ১০ টার দিকে র্যাব-৬ খুলনার একটি দল নগরীর হাদিস পার্কের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় ওই দলটি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ময়লাপোতা মোড়ের পাশে একটি চক্র মাদক বেচাকেনা করছে। পরে র্যাব সেখানে পৌঁছালে কয়েকজন পালানোর চেষ্টা করে। সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব। পালানোর কারণ জানতে চাইলে সোহেল জানায়, তার কাছে কোকেন আছে। র্যাব কর্মকর্তারা সেখান থেকে ২৩০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করে। যার মূল্য প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা।
সোহেলের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গগনবাবু রোডের একটি বাড়ি থেকে কোকেন বিক্রির মূল হোতা আরিফুর রহমান ছগিরকে গ্রেফতার করা হয়। ছগিরের দেওয়া তথ্য মোতাবেক দাকোপে রাত তিনটার দিকে অভিযান চালিয়ে বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল ও ফজলুর রহমান ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী টুটপাড়ায় অভিযানে এস.এম. এরশাদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে রূপসার রাজাপুর এলাকা থেকে বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনটি কোকেনের প্যাকেট বের করে দেয় সে। যার মধ্যে দুই কেজি ২০ গ্রাম কোকেন পাওয়া যায়। উদ্ধার হওয়া সোয়া দুই কেজি কোকেনের মূল্য ২২ কেটি ৫০ লাখ টাকা। পরে র্যাব কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে রূপসা থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করেন।