প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১, ১:৫৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক শিশু ও মহিলাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) মাজেদুল ইসলাম সেলিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেলিম ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের পরিমাণ জানতে দুদক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে।
দুদকের উপপরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এমন তথ্য জানা যায়। এতে বলা হয়েছে, গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়া এলাকার মোসলেহ উদ্দিন সেলিমের (বর্তমান ঠিকানা ঢাকার ৬১ সিদ্ধেশ্বরী লেন, ফ্ল্যাট নং-২) বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য সেলিম, তার স্ত্রী রাহিমা বেগম, ভাই কামরুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, মামুনুল ইসলামসহ তার পরিবারের ৭ জনের কালীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের ১০টি দলিলের জাবেদা ও সার্টিফায়েড কপি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিতে জেলা রেজিস্ট্রারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
মাজেদুল ইসলাম গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের মৃত মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মেহের আফরোজ চুমকির এপিএসের দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ব্যাপরে মাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘দুদক থেকে এখনো আমাকে কোনো কিছু জানায়নি। তবে আমি অন্য একটি মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির খোঁজ নিচ্ছে দুদক। আমার কোন অবৈধ অর্থ-জমি নেই। এলাকায় আমার রাজনৈতিক কিংবা পারিবারিক প্রতিপক্ষ থাকতে পারে। তাদের কেউ শত্রুতা বশত বেনামে আমার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দিয়েছে। আমি নাকি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক শত শত বিঘা জমির মালিক। তারই প্রেক্ষিত্রে দুদক সম্পদের হিসাব চেয়ে থাকতে পারে। আমার পৈত্রিক বাড়ি কালীগঞ্জে। এখানে আমাদের জমি রয়েছে। আমাকে বিতর্কিত করতে পারলেই মেহের আফরোজ চুমকি আপাকে বিতর্কিত করা যেতে পারে। আমি চাই এটা আইনগত ভাবেই সমাধান হোক।’
দুদকের চিঠির ব্যাপারে জানতে চাইলে কালীগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার শাহিন রেজা বলেন, ‘দুদকের চিঠি পাওয়ার পর কালীগঞ্জ ও গাজীপুরে তল্লাশি চালিয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উল্লিখিতদের (সেলিম ও তার পরিবারের সদস্যরা) নামে ২০টির মতো দলিল পাওয়া গেছে। সব কপি এ সপ্তাহের প্রথম দিকে দুদক কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’