প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৪৬ এএম | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বিশ্রামাগারে মাদক সেবনের একটি ভিডিও নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ওই বিশ্রামাগারে মাদকের আসর থেকে ধারণ করা ৪০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে চিকিৎসকদের বিশ্রামাগারে মাদকের আড্ডার ওই দৃশ্য ধারণ করা হয়। ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট এক কর্মী তাস নিয়ে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারই পাশে আরেকজন কর্মী মাদক সেবন করছেন। তাদের পাশে বহিরাগত এক যুবককে দেখা যায়। ওই যুবক এর আগে ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। ভিডিওটি দেখে সরকারি কর্মী ও বহিরাগত যুবককে চিহ্নিত করেছেন হাসপাতাল এবং হাসপাতালের বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মী।
হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, প্রায়ই বিশ্রামাগারে মাদকের আসর বসানো হয়। এতে বহিরাগত মাদকসেবীরাও থাকেন। সারারাত চলে তাস খেলা ও মাদকসেবন। এ সময় বিশ্রামাগারের বাইরে পাহারায় থাকেন বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নৈশপ্রহরীরা।
তবে ওই ভিডিও'র বিষয়ে ওই দুই সরকারি কর্মী কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। এমনকি ভিডিওতে তারা কেউ নেই বলেও দাবি তাদের।
বাউফলের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে মাদকের আসর বসার বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়ে শিগগিরই হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যিনি অন্যায় করবেন তিনিই ফল ভোগ করবেন। মাদক সেবনের তথ্য প্রমাণ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।