শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে: ড. মো. আফজাল হোসেন
প্রকাশ: বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১, ১১:২১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতোমধ্যে তিনি গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন খেতাব আর সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। রাষ্ট্রনায়ক থেকে বিশ্বনেতা হয়ে ওঠার যে ম্যাজিক তিনি বিশ্বকে দেখিয়েছেন তা এখন উন্নত বিশ্বে ‘শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেলে’ রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ এখন অর্জন করেছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পপূর্ণতা।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৮৪তম পর্বে বুধবার (০৬ অক্টোবর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ড. মো. আফজাল হোসেন বলেন, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবদান আজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ইতোমধ্যে তিনি গণতন্ত্র, স্বাস্থ্য ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, দারিদ্র্য বিমোচন, উন্নয়ন এবং দেশে দেশে জাতিতে জাতিতে সৌভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন খেতাব আর সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য পদক, পুরস্কার ও স্বীকৃতির পালক এখন শেখ হাসিনার মুকুটে একের পর এক যুক্ত হচ্ছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে এমনভাবে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করেছিল যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কেউ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে। আর এ কারণে নরপশুরা ছোট শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করেনি। ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান আমাদের আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার স্নেহের ছোট বোন শেখ রেহানা। দুই বোন ছাড়া পরিবারের সবার মর্মান্তিক মৃত্যু তাদের অনিশ্চিত পথে ঠেলে দেয়; কিন্তু বাবা ও মা’র দেখানো পথে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দীর্ঘ ৬ বছর ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ফিরেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে মনোনিবেশ করার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন এবং বারবার তাকে কারান্তরীণ করা হয়। তাকে হত্যার জন্য কমপক্ষে ১৯ বার সশস্ত্র হামলা হয়। রাষ্ট্রনায়ক থেকে বিশ্বনেতা হয়ে ওঠার যে ম্যাজিক তিনি বিশ্বকে দেখিয়েছেন তা এখন উন্নত বিশ্বে ‘শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেলে’ রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশ এখন অর্জন করেছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পপূর্ণতা। প্রবৃদ্ধির হার থেকে শুরু করে দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন সূচকের প্রবৃদ্ধির ফলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনার প্রথমবারের (১৯৯৬-২০০১) শাসনকাল চিহ্নিত হয় স্বর্ণযুগ হিসেবে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নিখুঁত নেতৃত্বে অর্জিত হয় ঐতিহাসিক বিজয়। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। গঠিত হয় মহাজোট সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনেন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহন করেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে রেকর্ড সৃষ্টি করে তিনি চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। তার গৃহীত পদক্ষেপে দেশবাসী আজ তার সুফল পাচ্ছে। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে।