মোংলা বন্দর কর্তৃপ কর্মচারী সংঘ (সিবিএ) নির্বাচনের মনোনয়ন ক্রয় নিয়ে দুই প্যানেলের সদস্যদের মধ্যে বাক-বিতান্ডা হামলা অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বন্দর ভবনের তৃতীয় তলায় মনোনয়ন ক্রয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। তবে নাসির মৃধা ও কাজী খোরশেদ আলম পল্টুর অভিযোগ, সংঘের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এস এম ফিরোজ কাল ক্ষেপন করে দ্বিতীয় বার মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে আসলে, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে অভিযোগ দেয়া তারা। আর নাসির চৌধুরী ও এস এম ফিরোজ বলেন, সময় থাকতেই মনোনয়ন কিনতে গেলে এতে বাধা দিয়ে তার ওপর হামলা চালায় পল্টু ও তার লোকজন। তবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ উল্লাহ বলেন, দুই প্যানেলের সদস্যদের ভুল বোঝাবুঝির কারনেই একটু সদস্যা হয়েছে তবে তাদের মধ্যস্থতায় তা সমাধান করা হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, চলতি মাসের ১৭ অক্টোবরের মোংলা বন্দর কর্তপক্ষ কর্মচারী সংঘের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিনটি প্যানেলে ১৩টি পদের অনুকুলে প্রার্থী হয়ে ৪৪ জন মনোনয়ন ক্রয় করেছে। এখানে নিয়োম ছিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মনোনয়ন ক্রয় করতে পারবে এ নির্বাচনের অংশ গ্রহনকারীরা। কিন্ত, দুপুর ১টার মধ্যে যারা মনোনয়ন ক্রয় কক্ষে প্রবেশ করেছে তাদের যত সময়ই লেগেছে তত সময় তাদের মনোনয়ন বিক্রয করা হয়েছে। তাতে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সময় লেগেছে বলে জানায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান। এখানে সিবিএ নির্বাচনে সভাপতি পদে ৩জন ও সাধারন সম্পাদক হিসেবে মনোনয়ন ক্রয় করেছে তিন প্যানেলের অনুকুলে ৩জন। এখানে নতুন ভাবে সাধারন সম্পাদক পদে মনোনয়ন ক্রয় করেছে সাবেক সাঃ সম্পাদক কাজী কেখারশেদ আলম পল্টু, সাবেক যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক মতিয়ার রহমান সাকিব ও বর্তমান সাধারন সম্পাদক এস এম ফিরোজ মনোনয়ন সংগ্রহ করেন।
প্রথমে ফিরোজ ও সাকিব প্যানেল মনোনয়ন পত্র ক্রয় করে বন্দর ভবন থেকে চলে গেলে শেষ পর্যায় নাসির মৃধা ও পল্টু পরিষদ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করতে যায়। এসময় ওই পদে মনোনয়ন কিনতে বাধা দেন ফিরোজ ও তার প্যানেলের অন্য সদস্যরা বলে অভিযোগ করেন পল্টু প্যানেলের সদস্যরা।
সিবিএ নির্বাচনের ভোটার ও কয়েকজন কর্মচারী বলেন, বর্তমান সাধারন সম্পাদক এসএম ফিরোজ একজন দূর্ণীতিবাজ। তিনি বিএনপি নেতা হয়েও দল পাল্টিয়ে সিবিএ নির্বাচনে কৌশলে নির্বাচিত হয়। সাধারণ সম্পাদক থাকাকালীন বেপরোয়াভাবে অনেক দূর্ণীতি অনিয়ম করার কারণে তার বিরুদ্ধে বন্দর চেয়ারম্যান ও মন্ত্রনালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ রয়েছে। শুনেছি আবার সে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তবে এবারে তার অনিয়োম-দুর্নিতীর জবাব ভোটে ব্যালোটের মাধ্যমে দেয়া হবে।
খোরশেদ আলম পল্টুর দাবি, নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর তার প্রতিদন্ধী প্রার্থী এস এম ফিরোজসহ তার প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে পুনরায় তাদের প্যানেলে অন্যান্য পদের অনুকুলে মনোনয়ন কিনতে যায়। নির্বাচন পরিচালনা কমিটিকে সময়ের ব্যাপারে অবহিত করে অভিযোগ তোলেন পল্টু। এসময় ফিরোজ ও তার লোকজন পল্টুর উপর হামলার চালায়। তার প্যানেলের সভাপতি প্রতিবাদ করলে তাকেও লাঞ্চিত করে পিরোজ ও তার দলবল।
সিবিএ নির্বাচনের অংশ গ্রহনকারী সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ও বর্তমান সাঃ সম্পাদক এস এম ফিরোজ বলেন, তারা মনোনয়ন ক্রয় করতে গেলে সেখানে বাধা দেয় পল্টু প্যানেল, তবে কারো উপর হামলা বা হাতাহতি ঘটনায় তারা জড়িত নয় বলে জানায় নাসির ও ফিরোজ প্যানেল।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কো-চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ উল্লাহ বলেন, সিবিএ নির্বাচনের মনোনয়ন ক্রয় নিয়ে দুই সাধারন সম্পাদক প্রার্থীর মধ্যে ভুল বোঝা-বুঝি হয়েছে। তাদের উভয়কে ডেকে আলোচনার করে তা সামাধান করা হয়েছে। সঠিক সময়ই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায় তিনি।
বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সংঘের দ্বি-বাষিক সাধারণ নির্বাচন আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি প্যানেলে ১৩ পদের অনুকুলে ৪৪টি মোননয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন প্রার্থীরা। এখানে ভোটার সংখ্যা ৮শ ৩৪জন।