‘ড. লিটন মনোনয়ন পেলে নৌকার জয় সহজ হবে’
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের উপনির্বাচনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাজ্জাদ হায়দার লিটনকে নৌকার কাণ্ডারি করা হলে সহজ জয় পাওয়া যাবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতা হিসেবে বিভিন্ন মহলে ড. লিটনের ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তিনি এলাকার জনসাধারণের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। শাহজাদপুরের উন্নয়নেও ড. লিটন ও তাঁর বাবার অপরিসীম অবদান রয়েছে। সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে ড. লিটনকে মনোনয়ন দেওয়া হলে নৌকা সহজ জয় পাবে। এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহজাদপুরের উন্নয়নে সাজ্জাদ হায়দার লিটনের বাবা আব্দুল মতিন মোহন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দুগ্ধ ও তাঁত শিল্প হলো শাহজাদপুরের অর্থনীতির প্রাণ। আর এ দুইটি শিল্পেরই অগ্রযাত্রা সূচনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা মোহন। তিনি ১৯৮৩ সালে শাহজাদপুরে সরকারের চার হাজার বিঘা জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে গো-চারণ ভূমি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি তিন বছর শাহজাদপুর আপগ্রেড থানা উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। দুর্দিনে শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার পেছনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল আব্দুল মতিন মোহনের। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগকে সক্রিয় রেখেছিলেন। এসব কারনে শাহজাদপুরের সাধারণ খেঁটে খাওয়া মানুষদের সঙ্গে ড. লিটনের পরিবারের একটি আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে।
পোঁতাজিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ‘শাহজাদপুরে ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন ভাইয়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। তিনি পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতা। উনাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে অবশ্যই জয়ী হতে পারবেন। তিনি এমপি হলে শাহজাদপুরের অসমাপ্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোকে সফলভাবে এগিয়ে নিতে পারবেন।’
শাহজাদপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশিদুল হায়দার বলেন, ‘শাহজাদপুরের প্রত্যেকটা মানুষের সঙ্গে লিটন ভাইয়ের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তিনি সবসময় এলাকার মানুষের পাশে থাকেন। তিনিই একমাত্র যোগ্য প্রার্থী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীরা সবাই চায় লিটন ভাই মনোনয়ন পান। তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হলে নৌকার জয় নিশ্চিত।’
শাহজাদপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তুহিন রেজা বলেন, ‘নেতা হিসেবে লিটন ভাই সবচেয়ে যোগ্য। উনার শিক্ষা, সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা সবই ভাল। উনার মানুষের সেবা করার মন মানসিকতা রয়েছে। উনার বাবারও অনেক অবদান রয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য।’
যুবলীগ নেতা মাসুক রহমান সূর্য বলেন, ‘এলাকার মানুষের যেকোনো বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ান লিটন ভাই। সামাজিক, সাংস্কৃতিক যেকোনো আয়োজনে তিনি সহযোগিতা করেন। তিনি সব শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। ফলে অন্য যেকোনো প্রার্থীর চেয়ে ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাই লিটন ভাই এগিয়ে আছেন।’
জানতে চাইলে সাজ্জাদ হায়দার লিটন বলেন, ‘পোঁতাজিয়া ইউনিয়নে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে আমি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের জমিদারীর এলাকার মধ্যে থেকেই ৩শ বিঘা জমিতে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলকে বারংবার পরামর্শ দিয়েছি। এরই প্রেক্ষিতে কবিগুরুর জমিতেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হয়।’
তিনি বলেন, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমরা মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। শাহজাদপুরের উন্নয়নে আমার বাবা অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন। আমিও দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। আমি মনে করি, আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এবং আমি নির্বাচিত হলে জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে শাহজাদপুরকে উন্নয়নের মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারব।’