দরজায় কড়া নেরে এগিয়ে আসছে, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গােৎসব।বড় এই উৎসবকে ঘিরে মন্ডপে মন্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরীর শেষ মুহূর্তের কাজ।
মাটির কাজ শেষ করে এখন চলছে সাজসজ্জার কাজ। রঙের আঁচড়ে দেবী দূর্গাকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নানাবর্ণে। পূজা ঘনিয়ে আসায় এখন রাত দিন ব্যস্ত সময় পার করছে মৃৎশিল্পীরা।
সরেজমিনে দখো যায়, প্রতিটি প্রতিমাকে রঙ-তুলির নিপুণ আঁচড়ে রাঙাতে ব্যস্ত শিল্পীরা। চলছে সাজ-সজ্জার কাজও।
দূর্গোৎসব শুরু হবে আগামী ১১ই অক্টোবর। আসন্ন দূর্গা পূজাকে ঘিরে বরগুনার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে বইছে উৎসবের আমেজ।
বরগুনা জলোর ৬টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় মোট ১৫৩টি পূজা মণ্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে এ বছর মহামারি করোনার প্রভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে পূজা-অর্চনা হবে বলে জানান আয়োজকরা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বরগুনা জেলার সভাপতি সুখরঞ্জন শীল জানান, মহামারি করোনায় সরকারের সব নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার জেলার ১৫৩ টি মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
১৫ই অক্টোবর দশমীর মহাপ্রলয়ের দিনে রাত ৮ টায় প্রতিমা বিসর্জনের সময়ও নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া জেলায় ৬টি স্থানে প্রতিমা বিসর্জনের জায়গা তৈরি করা হয়েছে।
বরগুনা সার্বজনীন আখড়া মন্দিরের পুরোহিত শ্রী সুমন চক্রবর্তী বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, এবারে মা দূর্গা ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে মহা ষষ্ঠীর দিনে পৃথিবীতে আসবেন, মহিষাসুরকে বধ করার মাধ্যমে পৃথিবী থেকে সকল দূর্গতি নাশ করে ১৫ অক্টোবর দশমির মহাপ্রলয়ের দিনে দোলায় চড়ে আবার স্বর্গে ফিরে যাবেন।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, আসন্ন দূর্গাপূজায় প্রতিটি মন্ডপে আমাদের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে, যখন প্রতিমা তৈরী করবে তখন পূজা কমিটির নিজেদের উদ্যোগে ভলান্টিয়ার নিয়োগ করবে এবং সেখানে আমরা একটা রেজিস্টার দিয়ে আসব সেই রেজিস্টারের ডিউটি করবে এবং আমাদের বিট অফিসাররা ২৪ ঘন্টা মনিটরিং করবে।
পূজা শুরু হওয়ার আগেই আমরা পুলিশ মোতায়েন করব এবং পূজা প্রতিমা বইসর্জন হওয়ার পর পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা রাখবো। প্রথম দিকে তারা নিজেরা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করবে, মাঝের স্তরে পুলিশ থাকবে এবং বাইরে ডিবি পুলিশ এবং ডিএসবি থাকবে।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, দূর্গা উৎসবকে সামনে রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গা উৎসব পালনের জন্য প্রশাসনের সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে।
তিনি স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল দর্শনার্থীকে পূজা মন্ডপে যাওয়ার অনুরোধ করেন। একই সাথে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান।
ভোরের পাতা/অ