জানা গেছে, টিআইবির প্রকাশিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আসার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সংবাদ সম্মেলন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আসতে পারেন বলেও জানা গেছে।
সম্প্রতি টিআইবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষাখাতের বিভিন্ন কাজে সাড়ে তিন লাখ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়।
এসব নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকা স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) ও কলেজ পরিচালনার দায়িত্বে থাকে গভর্নিং বডির (জিবি) সংশ্লিষ্টরা জড়িত বলে টিআইবির গবেষণায় উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে এমপি বা প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তির হস্তক্ষেপে সভাপতি মনোনীত করা হয়। এতে অনেকাংশে যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সম্পৃক্ত হতে পারে না, যা শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
কমিটির সভাপতি-সদস্য হওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা না থাকায় অনেক ক্ষেত্রে অক্ষরজ্ঞানহীন লোক কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। এতে শিক্ষকদের সঙ্গে কমিটির সদস্যদের কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন সমস্যা ও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।