প্রকাশ: বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১, ২:৩৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
সিলেটের বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ রায়হান আহমদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া দীর্ঘদিন ধরেই কারাগারে রয়েছেন। তবে এবার কারাগারে বসেই তিনি রায়হানের স্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, মামলা আপসের প্রস্তাবও দেন তিনি। একই সঙ্গে রায়হানের মা ও সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়ারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পেজে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এমনই তথ্য জানান সিলেট নগরের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হানের মা। শনিবার তাকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়। ভিডিওটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়।
নিহত রায়হানের মা একটি ফেইসবুক পেজের লাইভে বলেন, প্রশাসনের এক ব্যক্তিকে দিয়ে আমার বউমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব পাঠান আকবর। পাশাপাশি আমার বউমা, নাতি, ও আমার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবেন বলে জানান। আমি তার প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছি।
তিনি বলেন, আদালতে আসার পর আমার কাছে পা ধরে মাফ চেয়ে সমঝোতার প্রস্তাব দেন আকবর।
২০২০ সালের ১১ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকার যুবক রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ভোরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে নেয়া হয় সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে। সেখানে সকালে তিনি মারা যান।
রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার অভিযোগ তোলে তার পরিবার। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।
গত ৫ মে এই মামলায় ৫ পুলিশ সদস্যসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। ৩০ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত।
অভিযুক্তরা হলেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটুচন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদ ও কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।
রায়হানের মৃত্যুর পরই পালিয়ে যান এসআই আকবর। গেল বছরের ৯ নভেম্বর দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান পলাতক।