আজ শুভ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের সূচনায় শুরু হয় মহালয়ার ক্ষণ। দেবী দুর্গা যে আসবেন—তা জানান দেয় মহালয়া।
বুধবার ভোরে (৬ অক্টোবর) চণ্ডী পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হয় দেবীর আবাহন। আর এই ‘চণ্ডী’তেই আছে দেবী দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা ও দেবীর প্রশস্তি। এর পাঁচদিন পরই দেবী আসবেন। পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী এবার আসবেন ঘোড়ায় চড়ে, বিদায় নিবেন দোলায় চড়ে। মহালয়ার পাঁচদিন পর ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১১ অক্টোবর বোধনের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠী পালিত হবে। আর ১৫ অক্টোবর হবে দেবী বিসর্জন।
মহালয়া উপলক্ষে ভোরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে উদযাপিত হয় মহালয়া। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। এছাড়া গুলশান-বনানী সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর বনানী মাঠে পালিত হয় মহালয়া। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ভোরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। আর এর মধ্য দিয়েই শুরু হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এরপর আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানায়, আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। ১১ অক্টোবর ষষ্ঠী, ১২ অক্টোবর সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর অষ্টমী, ১৪ অক্টোবর নবমী এবং ১৫ অক্টোবর দশমীর দিন দেবী বিদায় নেবেন।
এদিকে, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, গত বছর সারাদেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ২১৩টি। এবার এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১১৮টিতে। যা গত বছরের চাইতে এক হাজার ৯০৫টি বেশি। আর ঢাকা মহানগরে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ২৩৮টি যা গতবছর থেকে চারটি বেশী।