শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ: ড. শাহিনূর রহমান
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১, ১১:০৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জননেত্রী থেকে বিশ্ব নেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রী, ছয় দফা আন্দোলনে সাহসী নেত্রী থেকে শুরু করে তাঁর জীবনের নানা চড়াই-উৎরায় পাড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে বর্তমান অবস্থানে এসেছেন। আজকে জাতিসংঘের ভাষণে তিনি যেভাবে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেখানে আজ পুরো বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলছে, বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। আজকে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা হচ্ছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৮৩তম পর্বে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ড. শাহিনূর রহমান বলেন, আমাদের জাতির পিতার রক্তের যোগ্য উত্তরাধিকারী জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অর্থাৎ ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে নিষ্ঠা ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে অবশ্যই দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড আমাদেরকে দিয়েছেন ১৯৭১ সালে এবং আমাদের সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেই আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু ও দেশি-বিদেশি ঘাতকচক্র সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তখন দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারত থেকে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তার দল আওয়ামী লীগ। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হন দলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও প্রকট আকার ধারণ করে। দ্বিধাবিভক্ত ও ব্র্যাকেটবন্দি হয়ে পড়ে দল। এ পেক্ষাপটে নির্বাসিত জীবনে ভারতে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ওই বছরের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। শুরু হয় শেখ হাসিনার আরেক সংগ্রামী জীবন। বঙ্গবন্ধু কন্যা যেদিন দেশে পা রাখলেন সেদিনই মানুষ আশায় বুক বেধেছিলেন। তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে, এবার আওয়ামী লীগ অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। সব হয়েছে। নতুন প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্য তিনি একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটের এ ক্রান্তিলগ্নেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জীবন-জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিঃস্বার্থভাবে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উন্নয়নের বিস্ময় বাংলাদেশে অনেক বড় বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে, বড় বড় ফ্লাইওভার করা হয়েছে, মেট্রোরেল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিতের পর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রকাশ, বহির্বিশ্বে আমাদের সম্মানযোগ।