#জননেত্রী থেকে বিশ্বনন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনা: পঙ্কজ দেবনাথ। #বর্তমান বিশ্বের বিস্ময়কর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা: সাবিনা আক্তার তুহিন। #শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ: ড. শাহিনূর রহমান।
জননেত্রী থেকে বিশ্ব নেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রী, ছয় দফা আন্দোলনে সাহসী নেত্রী থেকে শুরু করে তাঁর জীবনের নানা চড়াই-উৎরায় পাড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে বর্তমান অবস্থানে এসেছেন। আজকে জাতিসংঘের ভাষণে তিনি যেভাবে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেখানে আজ পুরো বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলছে, বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। আজকে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা হচ্ছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৮৩তম পর্বে মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, জননেত্রী থেকে বিশ্ব নেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের নেত্রী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্রী, ছয় দফা আন্দোলনে সাহসী নেত্রী থেকে শুরু করে তার জীবনের নানা চড়াই-উৎরায় পাড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে বর্তমান অবস্থানে এসেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ঘরে যে শিশুটির জন্ম হয়েছিলো, তিনিই হাটি হাটি পা পা করে নিজের সততা নিষ্ঠা, একাগ্রতা, ভিশন ও কাজের মাধমে বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে আজ বিশ্বনেত্রী হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ দুরন্ত, দুর্বার গতিতে। নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, সুদৃঢ় মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলী তাকে করেছে অদ্বিতীয়। তিনিই বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল, তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা। স্বপ্নদর্শী শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখেই প্রশান্তি পান না, তার বাস্তবায়নের মধ্যে তৃপ্তি পান। তিনি বিএনপি- জামায়াতের মতো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক কায়দায় মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ এগিয়ে নেওয়া একমাত্র শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। তাঁকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে অনেকবার। গ্রেনেড হামলাও হয়েছে। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছেন। ঘাতকরা সফল হতে পারেনি। শেখ হাসিনা অমিত সাহসী বিশ্ব নেত্রীর মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্বজুড়ে জঙ্গিবাদ, হানাহানি, সংঘাত-সংঘর্ষ, বারুদের পরিবর্তে তিনি শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন। দেশের জঙ্গিদের তিনি সাহসের সাথে দমন করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অগ্রযাত্রায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের রূপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমুখী নানা পরিকল্পনার সুফল এখন মানুষের দোরগোড়ায়। মানুষের গড় আয়ু, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, বিভিন্ন কাজে ডিজিটালাইজেশন, সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণে। বিগত বারো বছরে দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকার নিরলসভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। একবিংশ শতকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো করোনাভাইরাস মোকাবিলা করা। দ্বিতীয় ধাক্কায় এই ভাইরাস অনেক দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজধানী থেকে একেবারে গ্রাম পর্যন্ত কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার ফল আমরা ভোগ করছি। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের মৃত্যুর হার অনেক কম। প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা, প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা, ১ কোটি রেশন কার্ডের বিপরীতে খাদ্য সহায়তা, প্রায় সাড়ে চার কোটি জনগণকে ত্রাণ সহায়তাসহ ৩০০ কোটি টাকার কৃষি উপকরণ সরবরাহ করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আজকে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রায় উন্নত দেশের কাতারে চলে যাচ্ছে। এগুলো সব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার মনন, মেধা ও যোগ্যতার কারণে। এইজন্যই তিনি আজ জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী। জয়তু শেখ হাসিনা।
সাবিনা আক্তার তুহিন বলেন, আজকের আলোচনার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় যেটা জননেত্রী থেকে বিশ্বনেত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকে তিনি আমাদের নেত্রী থেকে বিশ্ব নেত্রীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। আজকে জাতিসংঘের ভাষণে তিনি যেভাবে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন সেখানে আজ পুরো বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে নিয়ে কথা বলছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলছে, বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। আজকে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা হচ্ছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অমর্ত্য সেন তিনি বলেছেন যে, বাংলাদেশ বর্তমানে এতোটা উন্নয়ন করেছে যে আমাদের ভারত ও পাকিস্তান কে পিছনে ফেলে দিয়েছেন। একসময় বাংলাদেশ কোথায় ছিল আর আজ কোথায় এসেছে। একসময় বাংলাদেশে সেই পাকিস্তানের শোষণ-নিপীড়নের মধ্যে ছিল। সেই বাংলাদেশকে আমাদের জাতির পতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের থেকে আমাদের মুক্তি করে আমাদের একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়ে গিয়েছেন। এই বাংলাদেশ আবার বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ২১ বছর আরও একটি অন্ধকার যুগে ছিল। যে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছিল সে বাংলাদেশের মাথা নিচু হয়ে গিয়েছিল এই ২১ বছরে সামরিক শাসনামলে। ২১ বছর পর যখন আওয়ামী লীগ ফের দেশের শাসন ব্যবস্থায় আসীন হলেন তখন থেকে আবার বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শুরু করলো। ষড়যন্ত্রকারীরা ওত পেতে ছিল সহস্রবার। তার লালিত সপ্নপূরণে বাধা এসেছিল বারবার। নিজের জীবন বাজি রেখে কীভাবে একজন মানুষ শত প্রতিকূলতাকে তুচ্ছজ্ঞান করে এগিয়ে যেতে পারে, সারাবিশ্বে তিনি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন। তার রাজনৈতিক জীবনের পুরোটাই দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে কাটিয়েছেন। এখনো কাজ করে যাচ্ছেন। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র তকমা মুছে গেছে বহু আগে। এখন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো এক বিস্ময়ের নাম বাংলাদেশ। অনেক সূচকে দৃষ্টান্তস্থাপনকারী ‘মডেল’ দেশ। অন্য অনেক দেশের জন্য উৎসাহ, অনুপ্রেরণা আর অনুসরণীয় দেশের নাম ‘বাংলাদেশ’। বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন দেখে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রসমূহের কর্ণধাররাও বিস্মিত। দেশ আজ আধুনিক অবকাঠামোগত প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাংলাদেশকে অন্য এক উচ্চতায় স্থান করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের উন্নয়নের এক ‘রোল মডেল’ হিসেবে স্বীকৃত যা বিশ্বনেতাদের নিকটও আলোচিত। আর এই সব কিছুই আজ সম্ভব হয়েছে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে।
ড. শাহিনূর রহমান বলেন, আমাদের জাতির পিতার রক্তের যোগ্য উত্তরাধিকারী জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অর্থাৎ ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে নিষ্ঠা ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরকে অবশ্যই দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড আমাদেরকে দিয়েছেন ১৯৭১ সালে এবং আমাদের সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন বলেই আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু ও দেশি-বিদেশি ঘাতকচক্র সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তখন দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারত থেকে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তার দল আওয়ামী লীগ। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হন দলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও প্রকট আকার ধারণ করে। দ্বিধাবিভক্ত ও ব্র্যাকেটবন্দি হয়ে পড়ে দল। এ পেক্ষাপটে নির্বাসিত জীবনে ভারতে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ওই বছরের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। শুরু হয় শেখ হাসিনার আরেক সংগ্রামী জীবন। বঙ্গবন্ধু কন্যা যেদিন দেশে পা রাখলেন সেদিনই মানুষ আশায় বুক বেধেছিলেন। তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে, এবার আওয়ামী লীগ অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। সব হয়েছে। নতুন প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্য তিনি একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংকটের এ ক্রান্তিলগ্নেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের জীবন-জীবিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিঃস্বার্থভাবে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উন্নয়নের বিস্ময় বাংলাদেশে অনেক বড় বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে, বড় বড় ফ্লাইওভার করা হয়েছে, মেট্রোরেল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিতের পর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রকাশ, বহির্বিশ্বে আমাদের সম্মানযোগ।