তিনি বলেন, আগামী দুই মাসের (অক্টোবর-নভেম্বর) মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উপহার হিসেবে ৭১ লাখ ডোজ ফাইজারের টিকা আমরা পাব।
একইসঙ্গে মডার্নার আরও ১৮ লাখ টিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদের জন্য বরাদ্দ করেছে। এ বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন।
এর আগে গত শনিবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের নিয়মিত এক অনুষ্ঠানে ডা. আলমগীর বলেন, আমাদের প্রথম লক্ষ্য ১৩ কোটি ৮৬ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া। ডিসেম্বরের মধ্যে যে ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে চাই, তার মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা আমাদের হাতে আছে।
শিক্ষার্থীদের টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। অনেকে দ্বিতীয় ডোজ এখনও নিতে আসেনি। ইউনিভার্সিটিগুলো খুললে ক্যাম্পেইন করে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে।
যাদের এনআইডি নেই তাদেরও জন্মনিবন্ধন সনদ বা বিশেষ তালিকা করে টিকা দেওয়ার জন্য ইউজিসি আমাদের জানিয়েছে। তাদেরও টিকা দেওয়া হবে।
সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফাইজারের ২৫ লাখ ডোজ টিকা আসে। এ নিয়ে ফাইজার-বায়োএনটেকের ৩৬ লাখ ৪ হাজার ৪৮০ ডোজ টিকা পেল বাংলাদেশ। যার পুরোটাই এসেছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, কোভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২৫ লাখেরও বেশি টিকা সরবরাহ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর সবগুলোই ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন। এগুলো এ মাসের প্রথম সপ্তাহে পাবে বাংলাদেশ।
ভোরের পাতা/অ