প্রকাশ: শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভের পর ক্ষমতায় আসে আওয়ামীলীগ সরকার। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়, জেলা-উপজেলা গুলোতেও একচ্ছত্র আধিপত্য পেতে শুরু করে ছাত্রলীগ।
জবি শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ছাত্রলীগ, বামপন্থী ছাত্র সংগঠন গুলোকে সক্রিয় দেখা গেলেও ছাত্রদল-ছাত্র শিবির এর কার্যক্রম কোনভাবেই নেই। তবে প্রকাশ্যে কার্যক্রম না চালালেও নীরবে ও পরোক্ষাভাবে নান কৌশলে কর্মী সংগ্রহ করছে বিএনপি ও জামায়তপন্থী এ ছাত্র সংগঠনগুলো।
জানা যায়, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মীরা মাঝে মধ্যে কেন্দ্রীয় কিছু প্রোগ্রামে খুব ভোরে জবি ক্যাম্পাস ও পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সমাবেশ করলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী করতে পারেন না তারা। বিভিন্ন প্রোগ্রামকে কেন্দ্র করে মাঝে মধ্যে ছাত্রদল প্রকাশ্যে এলেও ছাত্রশিবির এর কর্মীরা একদমই প্রকাশ্যে আসেন না বলে জানা যায়। তবে দুটি দলই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে শিক্ষার্থীদের তাদের দলে ভেরানোর চেষ্টায় থাকেন।'বিশ্ববিদ্যালয়ের আশে পাশের বিভিন্ন এলাকায় মেস ভাড়া করে নতুন ক্যাম্পাসে আসা শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে শিবিরের নেতা কর্মীরা, এছাড়াও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা করা, মেসে বসবাসের ক্ষেত্রে নানাবিধ সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে নিজ দলের প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা থাকে দল-গুলোর নেতা কর্মীরা।'
আরো জানা যায়, পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে শিবিরের নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু মেস রয়েছে। এসকল মেসে শিক্ষার্থীদের নানা কৌশলে উঠিয়ে শিবিরের কর্মীরা তাদের দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে বলে জানা যায়। পুরান ঢাকায় অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ সহ আশেপাশের কলেজের শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে থাকে সংগঠনগুলো।
অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না হওয়া, সহাবস্থানের অভাব ও হামলা-মামলার ভয়ে ক্যাম্পাসমুখী হতে পারে না জবি ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারী রফিকুল ইসলাম রফিক কে সভাপতি ও আসিফুর রহমান বিপ্লবকে সাধারন সম্পাদক করে ৯৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয় যার অধিকাংশ সদস্যই ছিল বিবাহিত ও অছাত্র। বর্তমানে পদ-প্রত্যাশী নেতারা ক্যাম্পাস মুখী না হলেও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নিকট দৌড়ঝাপ করছেন বলে জানা যায়।
জবি ছাত্রদলে পদপ্রত্যাশী নেতা মেহেদী হাসান হিমেল জানান, সহাবস্থানের অভাবে আমরা অনেক সময় চাইলে ক্যাম্পাসমুখী হতে পারি না। তবে শুনেছি অতিদ্রুতই ছাত্রদলের কমিটি হবে, কমিটি হোক না হোক আমরা দ্রুতই ক্যাম্পাসমুখী হবো বলে আশা রাখছি।
ভোরের পাতা/কে