তিনি বলেন, রিং আইডি প্রাথমিকভাবে একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরে তারা এ প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন সার্ভিস যােগ করে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করেছে। এ সব সার্ভিসের ভেতরে রয়েছে বৈদেশিক বিনিয়ােগ, কমিউনিটি জবসসহ বিভিন্ন সার্ভিস, যার আড়ালে এ আমানত সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনা করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল পরিমাণ জনগণ এ খাতে বিনিয়ােগ করে। এর আগেও তাদের করােনাকালীন ডােনেশনের মাধ্যমে জনগণের কাছে থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সন্দেহ করা হয়েছিল। বর্তমানে সন্দেহের তালিকায় থাকা বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের মতো তারাও অস্বাভাবিক ডিসকাউন্টে বিভিন্ন প্রােডাক্ট বিক্রি এবং ক্রেতাদের কাছে থেকে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে লেনদেন পরিচালনা করছিল।
তিনি আরও বলেন, রিং আইডিতে বিনিয়ােগ করে প্রতারিত একজন ভিকটিম সম্প্রতি ভাটারা থানা হাজির হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে রিং আইডির ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করেন। সিআইডির সিডিউলভুক্ত হওয়ায় এ মামলাটির তদন্তের কাজ শুরু করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। তদন্তের ধারাবাহিকতায় সাইবার পুলিশ সেন্টার বুধবার রিং আইডির পরিচালক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ বিপুল পরিমাণ আমানত গ্রহণের কোনো অনুমােদন তিনি বা তার প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করেনি বলে জানায়। তাদের এ কার্যক্রমের সঙ্গে কারা কীভাবে জড়িত রয়েছে এবং এ বিপুল অর্থ তারা কোথায়, কীভাবে সংরক্ষণ করছে তা বিস্তারিত জানতে তাকে আদালতে পাঠিয়ে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
ভোরের পাতা/কে