তিনি বলেন, শুক্রবার রাজধানীর গুলশান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে এখন বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা যায়, রিং আইডিতে বিনিয়োগ করে প্রতারিত হয়েছেন- এমন অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রিং আইডির বিরুদ্ধে মামলা করেন এক ব্যক্তি। ওই মামলায় সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিআইডির মিডিয়া কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, রিং আইডি প্রাথমিকভাবে একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরে তারা এ প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন সার্ভিস যােগ করে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করেছে।
এ সব সার্ভিসের ভেতরে রয়েছে- বৈদেশিক বিনিয়ােগ, কমিউনিটি জবসসহ বিভিন্ন সার্ভিস, যার আড়ালে এ আমানত সংগ্রহের কার্যক্রম পরিচালনা করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল পরিমাণ জনগণ এ খাতে বিনিয়ােগ করে।
এর আগেও তাদের করােনাকালীন ডােনেশনের মাধ্যমে জনগণের কাছে থেকে অর্থ সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সন্দেহ করা হয়েছিল। বর্তমানে সন্দেহের তালিকায় থাকা বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের মতো তারাও অস্বাভাবিক ডিসকাউন্টে বিভিন্ন প্রােডাক্ট বিক্রি এবং ক্রেতাদের কাছে থেকে ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে লেনদেন পরিচালনা করছিল।
তিনি বলেন, রিং আইডিতে বিনিয়ােগ করে প্রতারিত একজন ভিকটিম সম্প্রতি ভাটারা থানা হাজির হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে রিং আইডির ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করেন।
ভোরের পাতা/অ