বাঙালির আশার বাতিঘর শেখ হাসিনা: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৪৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে এই সময়টির জন্য পুরো জাতি অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সবার মধ্যে একটা টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে যে আমাদের নেত্রী ৭৫তম বছরে পা রাখবেন আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে। ধৈর্যশীলতা, স্মরণশক্তি, কৃতজ্ঞতাবোধ, নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যথার্থ সিদ্ধান্ত প্রদান শেখ হাসিনাকে কিংবদন্তি নেতায় পরিণত করেছে। তাঁর রাজনৈতিক সত্ত্বাটিও অসাধারণ। তিনি নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন সর্বাবস্থায়, সর্বাত্মক।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৭৫তম পর্বে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন, গৌরব ৭১ এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিবস উপলক্ষে এই সময়টির জন্য পুরো জাতি অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সবার মধ্যে একটা টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে যে আমাদের নেত্রী ৭৫তম বছরে পা রাখবেন আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে। এটি আমাদের জন্য একটা একটা অনন্দগণ মুহূর্ত। জাতির পিতার এবং বঙ্গমাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে তাদের কোল আলোকিত করে এই ধরাধমে এসে আমাদের মধ্যে আলোর দিশা দেখিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়। দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি বিদেশি মদদপুষ্ট ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করে। ফলস্বরূপ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তারা এদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলে পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণায় দেশকে পুনরায় প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বদেশে ফিরে আসেন। তাকেও অসংখ্য বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। তবে প্রতিবারই তিনি প্রাণে বেঁচে যান। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা আমাদের আশার বাতিঘর। আস্থার ঠিকানা। বেঁচে থাকার অবলম্বন। সম্প্রীতির ধারক ও বাহক। পথ চলার অনন্ত প্রেরণা। তিনি বাংলার মানুষকে আপন করে ভালোবেসে মুক্তির মিছিলে ছিলেন আশৈশব। তাকে যেন আমরা বাংলার ষড়ঋতুতে খুঁজে পাই। তার স্নেহ, মায়া-মমতার পরশে দুঃখী মানুষ খুঁজে পায় শান্তির ঠিকানা। তেমনি আবার তার অদম্য সাহস আর সংগ্রামী চেতনায় জেগে উঠে মুক্তিকামী মানুষ। প্রতিটি বসন্ত মানুষকে ঋদ্ধ করে, সম্পূর্ণ মানুষে পরিণত করে, মেচুরিটি লেভেল আকাশচুম্বী করে তোলে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে আমাদের নেত্রী পঁচাত্তরে পা রাখতে যাচ্ছে; এটি তাকে আরও অনেক বেশি প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞতায় প্রজ্বলিত করবে।