সড়কে ট্রাফিক পুলিশের হয়রানিমূলক মামলা বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে অ্যাপ-বেইজড ড্রাইভারস ইউনিয়ন অব বাংলাদেশ (ডিআরডিইউ)।
সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ বলেন, বাড্ডার ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। হয়রানির জন্য একজন চালক তার মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনাও যদি পুলিশকে নাড়া না দেয়, তাহলে কি আত্মহুতি দিলে তাদের বিবেক নাড়া দেবে?
সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ বলেন, আমরা কোনও মোড়ে দাঁড়াতে চাই না, আমরা কোথায় দাঁড়াবো, আমাদের নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হোক। তাহলে সেখানেই দাঁড়াবো।
কর্মবিরতির বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা কয়েকটি দাবি জানিয়েছি, কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠান আমাদের গ্রহণ করেনি। আমরা ষষ্ঠবারের মতো আন্দোলনে যাচ্ছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবো। কোনো ভায়োলেন্সে বিশ্বাসী না।
ডিআরডিইউ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা ষষ্ঠবারের মতো আন্দোলনে যাচ্ছি। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব।
তাদের দাবিগুলো হলো-
১. অ্যাপস-নির্ভর শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি, কর্ম ও সময়ের মূল্য দেওয়া।
২. সব ধরনের রাইডে কমিশন ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা, মিথ্যা অজুহাতে কর্মহীন করা থেকে বিরত থাকা।
৩. ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে রাইড শেয়ারিংয়ের যানবাহন দাঁড়ানোর জায়গা করে দেওয়া।
৬. গতবছর গ্রহণ করা সব এআইটি তালিকাভুক্ত যানবাহন মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়া।
সকালের দিকে রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় এক পাঠাও চালক নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন। মোটরসাইকেলে আগুন দেখে চলাচলকারী লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পাঠাও চালক শওকতকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, শওকত নিজেই পাঠাও চালক। সকালে লিংক রোড এলাকায় পুলিশ সার্জেন্ট মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেক করার সময় তিনি নিজের মোটরসাইকেলে নিজেই আগুন ধরিয়ে দেন। এর আগেও পল্টন এলাকায় তার মোটরসাইকেলের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তিনি মামলা খেয়েছিলেন।