প্রকাশ: সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে পুলিশ মামলা দেওয়ার কারণে এক ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন।
এই ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে বিভিন্ন জনের টাইমলাইনে ঘুরছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে- রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা একটি মোটরসাইকেলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ক্ষুব্ধ একজন ব্যক্তিকে ওই মোটরসাইকেলেই হেলমেট ছুড়ে মারতেও দেখা যায়। আশপাশে থাকা অন্যরা মোটরসাইকেলে পানি দিতে চাইলে ওই ব্যক্তি তাদের বাধা দেন। কারও কথা না শুনে নিজের গাড়িতে আরো পেট্রোল দিতে থাকেন।
ছিলেন ব্যবসায়ী। দেড় বছর আগেও তার ভালো আয় ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হন শওকত আলম সোহেল। এ অবস্থায় জীবন-জীবিকার তাগিদে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে রাইড শেয়ার করতে রাস্তায় নামেন। গত দেড় বছর ধরে রাইড শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলেন তিনি।
জীবন নির্বাহের এ পথটিও নির্বিঘ্ন ছিল না। যার কারণে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়েই আজ জীবন-জীবিকার একমাত্র বাহনটিতে নিজেই আগুন ধরিয়ে দেন শওকত।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় নিজ মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।
থানা সূত্রে জানা যায়, ওই মোটরসাইকেল চালকের ঢাকার কেরানীগঞ্জে স্যানিটারি পণ্যের একটি দোকান ছিল। করোনার কারণে গত দেড় বছর ধরে তার ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। একটি মোটরসাইকেল কিনে তিনি গত দুই-তিন মাস ধরে রাইড শেয়ারিং অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রী পরিবহন করছিলেন। তবে এ পেশায় বিরক্তও ছিলেন তিনি।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় দায়িত্বরত এক ট্রাফিক সার্জেন্ট মোটরসাইকেলের কাগজপত্র শওকতের কাছে চায়। তখন তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে নিজেই মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে তার মোটরসাইকেলটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বাড্ডা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাঈদ মিয়াবলেন, করোনার কারণে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে সে জীবন যাপন করলেও বিষয়টা নিয়ে সে নিজে মনে মনে বিরক্ত এবং ক্ষিপ্ত ছিলেন। এছাড়া এর আগেও রাজধানীর পল্টনসহ একাধিক জায়গায় কাগজপত্রে ত্রুটি থাকার কারণে ট্রাফিক পুলিশের হাতে মামলা খেয়েছে। ফলে আজ আবার কাগজপত্র চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি এ কাজ করেছেন।
আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে শওকত জানায়, নিজের মনের ক্ষোভ থেকেই তিনি ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বা অন্যকোন কারো দোষ নেই। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ভোরের পাতা/কে