জুলহাস মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ধারার হাট গ্রামের বাসিন্দা। দরিদ্র জুলহাস শেখের জীবন কাটছে কোনোরকম। একমাত্র ছেলে মো. সাইদুল ইসলামের সংসারেও চলছে টানাপোড়েন।
তিনি বলেন, কত মানুষের কাছে গেলাম। কত মানুষ আশ্বাস দিল। কিন্তু কেউ আমাকে একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দিল না। আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাব? নির্বাচন অফিসের ভুলের কারণে আমি আজ ভুক্তভোগী।
তার পুত্রবধূ সেলিনা বেগম বলেন, আমার শ্বশুরের জাতীয় পরিচয়পত্র ঠিক করার জন্য ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে দৌড়াদৌড়ি করেও কোনো প্রতিকার পাইনি। ফলে উনি কোনো সুবিধােভোগ করতে পারছেন না।
বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. বাদল মৃধা বলেন, জুলহাস শেখের বয়স প্রায় ৮৮ বছর। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে তার বয়স কম হওয়ায় বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। তার জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করে জমা দিলে অবশ্যই বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে।
লৌহজং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, শুধু তিনিই নন, একই সমস্যার কারণে উপজেলায় বহু লোক বয়স্ক ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
বয়স্ক লোককে দেখলেই বোঝা যায়, কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্মতারিখ ভুলের কারণে তাদের বাদ পড়তে হয়।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে তাদের এই সমস্যা থেকে সমাধান করা যায়, সেই ব্যবস্থা করব।
ভোরের পাতা/অ