ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’। খবর-আনন্দবাজার।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘূর্ণিঝড় গুলাবের অগ্রভাগ অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকার স্থলভাগে পৌঁছেছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তর উপকূল এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ উপকূলীয় ওড়িশায় ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৭৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড়টি।
আগামী তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনম ও উড়িষ্যার গোপালপুর অতিক্রম করতে পারে। এর প্রভাবে আগামী দুইদিন অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার তেলেঙ্গানায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে জেলেদের একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দুই জেলে নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি চারজন এখনো নিখোঁজ।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই’র বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় গুলাব অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরতে শুরু করেছে। আপাতত উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূল অঞ্চলে অবস্থান করছে গুলাবের কেন্দ্র। সেখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৫ কিলোমিটার। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাতাসের গতিবেগ কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সন্ধ্যার পর থেকেই বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের আকাশ মেঘলা হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও বৃষ্টি হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশের উপকূলীয় এলাকা ছাড়া অন্যত্র ওই ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে সোমবার বিকেল নাগাদ বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি দ্রুত নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এর প্রভাবে আগামী কয়েক দিন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তবে সোমবার দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
রাজধানীতে রোববার রাত সোয়া আটটা থেকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। চলে রাত নয়টা পর্যন্ত। দুপুরের দিকেও রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় আকাশ মেঘলা হয়ে সামান্য বৃষ্টি হয়। তবে ঘূর্ণিঝড় গুলাবের প্রভাবে নয়, এই বৃষ্টি হয়েছে মূলত দেশের অভ্যন্তরে সৃষ্ট বজ্রমেঘের কারণে। সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ জায়গায় প্রখর রোদ ছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, আকাশে মেঘ বেড়ে যাওয়ায় সোমবার সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। রোববার দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারে ১৪ মিলিমিটার। আর ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে এক মিলিমিটার। দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল রংপুরে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।