জাতিকে আলোর পথে নিয়ে যাওয়ার কারিগর জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস জানতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উদ্যোগে রাজধানীর বনানীর ‘শেরাটন ঢাকা’ হোটেলে ‘বাংলাদেশ: উন্নয়নের এক যুগ’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
স্পিকার ১৯৮৪ সালে মহান জাতীয় সংসদের সামনে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই উক্তির উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেদিন বলেছিলেন, এই সংসদ জনতার সংসদ।
স্পিকার বলেন, গণতন্ত্র ও গণমানুষের সমর্থনের প্রতি অগাধ বিশ্বাসই প্রধানমন্ত্রীর রাজনীতির মূল চালিকাশক্তি। তিনি আরও বলেন, তার গণতান্ত্রিক সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস নবীন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকলকে একেযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
স্পিকারের মতে, ছেলেবেলায় টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম থেকে শুরু করে তার শিক্ষাজীবন, বৈবাহিক জীবন, পারিবারিক জীবন, রাজনীতিতে আসা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়া, চারবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন, অনেক গবেষণালব্ধ বিষয় রয়েছে আজকের প্রদর্শনীটি যা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
স্পিকার বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর এদেশের ইতিহাসকে ভিন্নপথে পরিচালিত ও স্বাধীনতার চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বজনহারার বেদনা বুকে নিয়ে আজকের প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে নিহিত আছে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়াবার বার্তা। তখন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হয় নতুন মাত্রা, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন বাঁক।
স্পিকার আরও বলেন, বাংলার মানুষ তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল, যা থেকে তার পথচলা। সেখান থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, স্বৈরশাসনের অবসানের সংগ্রাম, সংবিধান অনুযায়ী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সত্যি বিস্ময়কর বলে উল্লেখ করেন স্পিকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়। নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের নিকট আত্মশক্তিতে বলীয়ান একটি জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা যে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছিলাম, তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে নিয়ে গেছেন স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর পিতার মতো এদেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর যে অপূর্ণ স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, সে স্বপ্নের বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সুদক্ষ নেতৃত্বেই প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ডিজিটাল বাংলাদেশ।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনার বেনেইট প্রিফন্টেইন সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এ আরাফাত অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন।