#একজন অনন্য বিশ্বনেত্রী আমাদের শেখ হাসিনা: মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল। #বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে প্রবাসে সুরভিত করছি আমরা: রবিন মোহাম্মদ আলী। #শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনন্য উচ্চতায় বাংলাদেশ: খান লিটন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। তার স্বীকৃতি জাতিসংঘের এই এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন অনেক স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন। কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশের জিডিপি ৫.২৪% উন্নীত হয়েছে যখন অনেক উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে নেতিবাচক অবস্থার সঙ্গে লড়াই করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এসবই সম্ভব হয়েছে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৭৪তম পর্বে রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জার্মান আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, সভাপতি, বাংলাদেশ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন এবং লেখক মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল, অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী, জার্মান-বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি খান লিটন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
মায়েদুল ইসলাম তালুকদার বাবুল বলেন, আমি প্রথমেই জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সর্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’-এ ভূষিত করা হয়েছে তার জন্য তাকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বর্ণাঢ্য জীবনের নানা সময়ে নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়। ১৯৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে পার্বত্য শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যোগ্যতার বহির্প্রকাশ ঘটান। দীর্ঘ দুই দশকের অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ইউনেস্কো তাকে ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কার দেয়। ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা বিশ্বের সর্বোচ্চ পরিবেশ বিষয়ক পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় দূরদর্শী পদক্ষেপে নেওয়ায় তাকে সেই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আবদুল কালামের নামে প্রতিষ্ঠিত ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এডভাইজরি কাউন্সিলের ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ পান। বাংলাদেশে নারী শিক্ষা ও উদ্যোক্তা তৈরিতে অসামান্য নেতৃত্ব দানের জন্য শেখ হাসিনা গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘গ্লোবাল সামিট অব ওমেন’ তাকে এ সম্মাননা দেয়। নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ইউএন উইমেন ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ পুরস্কার ও ‘প্লানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ প্রদান করে। আজ জাতিসংঘ থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও বড় বড় সংস্থা ইউনেস্কো, ইউনিসেফ, এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল দেশগুলোও শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করছে। বিশ্ব নেতৃত্ব শেখ হাসিনাকে আজ স্টার অব ইস্ট বলছেন। তিনি শুধু রাষ্ট্রনায়কই নন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে যে মানবিক হতে হয় সেটাও তিনি দেখিছেন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নিয়ে।
রবিন মোহাম্মদ আলী বলেন, আজ ভোরের পাতা সংলাপে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে কিছু কথা বলতে এখানে সংযুক্ত হয়েছি এটা আমার জন্য অনেক খুশীর ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। তার স্বীকৃতি জাতিসংঘের এই এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন অনেক স্বীকৃতি তিনি পেয়েছেন। এর আগে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের সরকারপ্রধানদের মধ্যে অন্যতম সফল এবং অনুকরণীয় তিনজন নারী সরকারপ্রধানের একজন নির্বাচিত হন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনে শেখ হাসিনা তার বাংলা ভাষণে করোনা ভাইরাসের টিকার মেধাস্বত্ব উঠিয়ে এর ন্যায্যতাভিত্তিক বণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু, একীভূত অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিশ্ব শান্তি, নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তিনি জোর দিয়েছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু যে অবদান রেখেছিলেন ও শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন, তার পথ ধরে তার কন্যাও আজ বর্তমান বিশ্ব উপযোগী শান্তির ললিত বাণী শোনাচ্ছেন। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি উল্লেখ করেন যে, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতামুক্ত এবং ধর্মনিরপেক্ষ এক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করব। কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশের জিডিপি ৫.২৪% উন্নীত হয়েছে যখন অনেক উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে নেতিবাচক অবস্থার সঙ্গে লড়াই করছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে এবং দেশের রেমিট্যান্স-প্রবাহ, কৃষি উৎপাদন এবং রপ্তানিতে পরিবর্তন এসেছে। এসবই আজ সম্ভব হয়েছে আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে।
খান লিটন বলেন, আমি প্রথমেই বলতে চাই আমি একজন স্বাধীনতার সপক্ষের মানুষ, সাংবাদিকতার পাশাপাশি আমার রাজনৈতিক আদর্শ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ। বাংলাদেশের থাকাকালীন সময়ে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সামনাসামনি দেখার সুযোগ হয়নি আমার কিন্তু ইউরোপে থাকার সুবাদে আমি খুব কাছ থেকে তাকে বেশ কয়েকবার দেখেছি, পাশে বসে কথা বলেছি। পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের সময় তিনি যখন জার্মানিতে ছিলেন তখনকার অবস্থা যেমন ছিল পরবর্তীতে সেটা ভুলে যাননি জননেত্রী শেখ হাসিনা। প্রবাসীদের প্রতি সব সময় তিনি সহৃদয়বান ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হতোনা। আজকে বিশ্বের মানচিত্রে একটি বাংলাদেশ নামে যে দেশ রচিত হয়েছে সেটা বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছে বলেই এরকম সম্ভব হয়েছিল। আমরা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ নামে পরিচিতি পেয়েছে। আমরা এখানে বাংলাদেশি বলে নিজেরদের পরিচয় দিতে পেরেছি। আমার দেখা শেখ হাসিনাকে যতবার দেখেছি যেমন ১৯৯৫ সালে, ২০০২ সালে, ২০০৩ সালে, ২০০৯ সালের যতবারই তাকে দেখেছি ততবারই আমি একটা বিষয় উপলদ্ধি করেছি যে, জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্ম না হলে আজকের এই উন্নয়নশীল বাংলাদেশ রচিত হতো না। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন আমরা বাংলাদেশ পেতাম না ঠিক তেমনি শেখ হাসিনার জন্ম না হলে আজকের এই শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশের যে অবস্থান আছে সেটা সম্ভব হতো না।