প্রকাশ: শনিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৩:০৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
মিনার-ই কবীর বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলায় সুগন্দিয়া গ্রামে অবস্থিত একটি মিনার যা পাইলিং করে নির্মিত। এ্যাডভোকেট কবীর হোসেন মুকতার নিজস্ব উদ্যোগে মিনারের নির্মাণ কাজ শুরু করেন ২০১৩ সালে যা এখন অত্র এলাকায় সর্বোচ্চ ইসলামী নিদর্শন।
মিনারের আশে পাশে বেশ কিছু প্রাচীন ইসলামী নিদর্শন রয়েছে। ৯টি ছোট-বড় বিভিন্ন উচ্চতায় মিনার কমপ্লেক্স নির্মিত সর্বোচটি ২০০ ফিট উচ্চ ৮০ ফিট নিচে পাইলিং। ভারতের কুতুব মিনার এবং আফগানিস্থানের জামের মিনার দেখে সেই আদলে মিনার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২টি ৫০ফিট করে ১০০ ফিট ২টি করে = ৫০ ফিট, ৪টি-১৫×৪ = ৬০ ফিট মোট ৪১০ফিট ৩য় তলা পর্যন্ত সিড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। যেখানে ইসলামিক যাদুঘর করার পরিকল্পনায় আছে।
মিনারটি সম্পূর্ন পাথর ঢালাই ও টাইলস করা হয়েছে। ২০০ ফিট উপরের সবুজ গম্বুজ করে টাইলস দিয়ে সম্পূর্ন মিনারটি সৌন্দর্যবর্ধন বৃদ্ধি করা হয়েছে। মিনারের চারিদিকে ওয়ালে ইসলামিক মর্মকথা দিয়ে দেয়াল করা হয়েছে।
মিনারের সাথে ১টি ৫গম্বুজ বিশিষ্ট রাবেয়া মুনসুর নামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে ২০০৭ সালে যেখানে ছোট গম্বুজ বিশিষ্ট ১টি সুদৃশ্য ক্ষেত্রে আছে। মিনারের ২পাশে পানির প্রবাহ বিদ্যমান তাই মিনারের জলছবি পানিতে বিদ্যমান হয়ে থাকে। ৬০ফুট উচ্চতায় ১টি এবং ১০০ফিট উচ্চতায় ১টি সর্বমোট ২টি বেলকনি আছে যাতে ৮টি জানালা আছে। উপরে যাবার জন্য ভিতর দিয়ে স্টিলের সিড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরো মিনারজুরে টাইলস দিয়ে ইসলামিক কারুকার্য করা হয়েছে। মিনারের গেটটি করা হয়েছে ইসলামিক আদলে এটাকে অত্র এলাকায় সর্বোচ্চ মিনার হিসাবে বিবেচিত এবং বাংলাদেশের এটি প্রথম ৯টি মিনার সম্মলিত কমপ্লেক্স।
এটি বাংলাদেশের প্রথম ৯ মিটার বিশিষ্ট সর্বোচ্চ মিনার কমপ্লেক্স হিসাবে অভিহিত হয়।