প্রকাশ: শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:২৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের আজকের বাংলাদেশের যে উন্নতি, ভিত্তি সেটা কতটা শক্ত। তা আমাদের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট; এইগুলো দেখে কিন্তুধরেই নিতে পারি যে কতটা স্থিতিশীল ও টেকসই ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছি আমরা। বিশেষ করে করোনাকালে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যখন অর্থনীতি ঋণাত্মক তখন আমাদের দেশের অর্থনীতি ধনাত্মক পর্যায়ে চলে গেছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন শেখ হাসিনা। সেটা হলো বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশকে উন্নত অবস্থানে নিয়ে গেছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৭২তম পর্বে শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের লিভার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, বেলজিয়াম আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা, বেলজিয়াম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফারুক মির্জা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাসে ৭৫ এ পদার্পণ করবেন। এই মাসেই ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত তাঁর সুযোগ্য কন্যা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতিসংঘের বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছেন। এখন জাতিসংঘের সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করছে বাংলাদেশিরা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী একাধারে একজন মমতাময়ী মা, একজন সুদক্ষ প্রশাসক। তাকে বলা হয়, গণতন্ত্রের মানসকন্যা। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা হচ্ছেন উন্নয়নের রোল মডেল। তিনি স্বপ্ন দেখান, স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন। তিনি মানুষকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছেন। তিনি সুশাসনের জন্য ইস্পাতসম কঠিন, মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। তিনি কারো সাথে আপোষ করেন না। এই করোনা সংকটকালে পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশের রাষ্ট্র নেতারা যখন ব্যর্থ হয়েছে, তখন সফলতার সাথে এই সংকট মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। এদেশের একজন মানুষও না খেয়ে থাকবে না, তিনি ত্রাণ দিয়ে তার কথা রক্ষা করেছেন। শুধু করোনা নয়, একই সময় প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং কয়েক দফা ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সফলতার সাথে মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। এই করোনা সংকটের সময় বাংলাদেশের রেমিটেন্স রেকর্ড গড়েছে। এত অল্প সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মময় জীবন নিয়ে কথা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি আছেন বলেই বাংলাদেশ এখনো কক্ষচ্যুত হয়নি। তারই সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বাংলাদেশকে প্রযুক্তিখাতে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করছেন। তার কারণেই বাংলাদেশে এখন বিদেশি বিনিয়োগ প্রতি নিয়তই বাড়ছে। জাতিসংঘে সম্মানজনক অবস্থানে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ভিশনারী লিডার। জাতিসংঘ হচ্ছে বিশ্ব ক্যাবিনেট। আমরা জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো এটাই আমার প্রত্যাশা।