যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের কলিয়েরভিলে ক্রোগারের একটি সুপারমার্কেটে এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারী একজনকে গুলি করে হত্যা ও আরও ১২ জনকে আহত করার পর নিজেই আত্মহত্যা করেন। খবর-রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকালে এ ঘটনা ঘটে।
ক্রোগারের মুদি দোকানে এ গুলির ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে হাজির হয়। ঘটনার তদন্তে আশপাশের রাজ্যগুলোর পুলিশও সহায়তা করছে।
আহত ১২ জনের মধ্যে একজনের অস্ত্রোপচার লেগেছে, আরেকজন নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে আছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন কলিয়েরভিলের পুলিশপ্রধান ডেল লেন।
সুপারমার্কেটে গুলির ঘটনাকে কলিয়েরভিলের ইতিহাসের সবচেয়ে ‘আতঙ্কজনক ঘটনা’ অ্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা ফ্রিজে, তালা দেওয়া অফিসে লুকিয়ে থাকা মানুষ পেয়েছি। তারা সেটাই করেছেন, যা করতে তারা প্রশিক্ষিত ছিলেন- তারা দৌড় দিয়েছেন, লুকিয়ে থেকেছেন, লড়েছেন।
বন্দুকধারীর নাম পরিচয় জানানো হয়নি। হামলায় তাকে আরও কেউ সহায়তা করেছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান।
এ গুলির ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের যোগসাজশের প্রমাণ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনামা এক সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় রেগ টিভি জানিয়েছে, বন্দুকধারী ওই মুদি দোকানেরই কর্মচারী ছিলেন, যাকে বৃহস্পতিবার চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।
ক্রোগারের কর্মী ব্রিগনেটা ডিকারসন জানান, গুলি শুরুর পর তিনি অন্য কর্মী ও ক্রেতাদের তাকে অনুসরণ করে দোকানের পেছনে চলে যেতে নির্দেশনা দেন এবং পেছনে থাকা দরজা বন্ধ করে দেন। কিন্তু বন্দুকধারীও তাদের পিছু নিয়েছিল।
“সে গুলির পর গুলি চালাতেই থাকে। সে আমার এক সহকর্মীর মাথায় গুলি করে পরে এক ক্রেতার পেটে,” বলেন ডিকারসন।
বন্দুকধারীর হাতে সামরিক-স্টাইলের বন্দুক ছিল বলেও মনে হয়েছে তার।
“আমি খানিকটা কাঁপছি, কিন্তু আমি ঠিক আছি। ঈশ্বরকে আমি আমার পক্ষে পেয়েছি,” বলেছেন এ নারী।
বন্দুকধারীর হামলার সময় দোকানে ৪৪ কর্মী ও অগণিত ক্রেতা ছিল বলে লেনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দোকানটি পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, বলেছেন ক্রোগারের মুখপাত্র টেরেসা ডিকারসন।
উল্লেখ্য, গত মার্চে কলোরাডোয় ক্রোগারের মালিকানাধীন কিং সুপারস সুপারমার্কেটে এক বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হন।