বর্তমান বিশ্বে সব থেকে আইকনিক নেত্রী শেখ হাসিনা: ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:২৭ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন সন্নিকটে। তিনি বর্তমানে জাতীয় দায়িত্ব পালন করতেই আন্তর্জাতিক সভায় বক্তৃতা দেওয়ার জন্য সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনা নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে বাবার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। তার শাসনামলেই চলতি বছর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৭১তম পর্বে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের একটা স্বাধীন ভূখণ্ড দিয়ে গিয়েছিলেন এবং তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ আলোকিত বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ, আধুনিক বাংলাদেশ এবং বিশ্ব নেতৃত্বেও জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। আসলে যে এগিয়ে যায় তার দিকে সবাই তাকায়, যে দেশ এগিয়ে যায় তার দিকেই সবাই তাকায়, এটাই বাস্তবতা। আসলে বঙ্গবন্ধুকে জানলে বাংলাদেশকে জানা হয়ে যায়, বাংলাদেশকে জানলে বঙ্গবন্ধুকে জানা হয়ে যায়। ঠিক তেমনি আধুনিক বাংলাদেশকে জানলে শেখ হাসিনাকে ও শেখ হাসিনাকে জানলে আধুনিক বাংলাদেশকে জানা হয়ে যায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা পারিবারিকভাবেই রাজনৈতিক বলয়ে বড় হয়েছিলেন। পঁচাত্তরের পর দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তিনি যখন আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফিরলেন তখন অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল তার সামনে। প্রথমে দলকে সুসংগঠিত করা, সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, যুদ্ধাপরাধী কিংবা পঁচাত্তরের খুনিদের বিচার কারজ সম্পন্ন করা। আজকের প্রেক্ষাপট যদি আমরা বিশ্লেষণ করি তাহলে দেখতে পাবো যে, জননেত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই উপমহাদেশের সব থেকে প্রাচীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজ সুসংগঠিত এবং তিনি আজকের পৃথিবীতে নারী নেতৃত্বদের মধ্যে দলের ও দেশের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন সেখানে সবাইকে টপকে গিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে বহু বার তার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতাকর্মী শহীদ হন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এ সময়ের দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন মাত্র সূচিত হয়েছে। তার শাসনামলেই চলতি বছর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার হাত দিয়েই বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে পরিণত হয়েছে এবং উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে বাবার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। ‘রূপকল্প ২০২১’ এর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত, আধুনিক, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।