অমিত সাহস নিয়েই দেশের জন্য কাজ করছেন শেখ হাসিনা: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:২৭ পিএম আপডেট: ২৩.০৯.২০২১ ১১:৩১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন সন্নিকটে। তিনি বর্তমানে জাতীয় দায়িত্ব পালন করতেই আন্তর্জাতিক সভায় বক্তৃতা দেওয়ার জন্য সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনা নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে বাবার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। তার শাসনামলেই চলতি বছর বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৭১তম পর্বে বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিনূর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন সন্নিকটে। তিনি বর্তমানে জাতীয় দায়িত্ব পালন করতেই আন্তর্জাতিক সভায় বক্তৃতা দেওয়ার জন্য সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি তার ভাষণ প্রদান করবেন আমাদের জাতির পক্ষ থেকে এবং তা বিশ্বের দরবারে আমাদের প্রতিনিধিত্ব প্রকাশ করবে এবং সেখানে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তিনি সেখানে বাঙলায় বক্তৃতা দিবেন যেটি আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে আবার নতুন করে সমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করবে। জাতির পিতার সুযোগ্য সন্তান হিসেবে সেই ছোট বেলা থেকে যেভাবে বেড়ে উঠেছেন তা রীতিমতো নজিরবিহীন। তিনি জাতির পিতার সুকন্যা হিসেবে নিজেকে চার দেয়ালের মধ্যে আটকিয়ে রাখেননি, তিনি তার সে সময় থেকেই রাজনীতিতে পা রেখেছেন ও সে সময় থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এই যে বেড়ে উঠাটা ও জাতির পিতার কাছ থেকে শিখে বড় হওয়াটা একেবারেই আলাদা। তা তাকে ঋদ্ধ করেছে এবং সম্পূর্ণ মানুষে পরিণত করেছে। পরবর্তীতে পঁচাত্তরের বিয়োগান্তক ঘটনায় আমরা যখন কিংকর্তব্যবিমুড় হয়ে গেলাম তখন সেই রকম একটি পটভূমিতে শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকার পর সকল ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। আমাদের দেশের সব থেকে প্রাচীনতম দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন তখন। সব হারানোর বেদনা অন্যদিকে নিজের জীবনের ঝুঁকি, এই অবস্থায় তিনি দেশে এসেছিলেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। সব হারিয়ে নিজেকে উৎসর্গ করতে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। এজন্য তিনি সফল হয়েছেন। বারবার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আজকে বাংলাদেশকে এই পর্যায়ে আনতে তিনি সক্ষম হয়েছেন, যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। আজকে হাতে গোনা কয়েকজন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এটা জাতি হিসেবে আমাদের গর্ব।