একজন ‘ফিনিক্স পাখি’ আমাদের হাসু আপা: ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:২০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ ডিসেম্বর ৭৫-এ উপনীত হচ্ছেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, স্বাধীন বাংলাদেশে ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বর। ৭৫’র সেই বিয়োগান্তক ঘটনা তার জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। সেদিন ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসসহ তার জীবনের আগামীর সময়গুলোও পাল্টে দিয়েছিল।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৬৯তম পর্বে মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাবেক তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ।
ব্যারিস্টার ড. তুরিন আফরোজ বলেন, আসলে একজন মানুষের জন্মদিন তার জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং ৭৫ বছর একটা লম্বা সময় এবং সেটিকে সঠিক মূল্যায়ন করারও সময়। আমরা যদিও বলে থাকে যে মূল্যায়ন করবার জন্য কি সময় চলে গেছে, তার সময় চলে যায়নি কিন্তু প্রতি মুহূর্তে মানুষের জীবনের মূল্যায়ণ করাটাও খুব জরুরি। প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল ১৯৮৩ সালে তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম। তখন থেকেই তাঁর সম্পর্কের জানা শোনা, পড়ালেখা করা বা জীবন সম্পর্কে দেখে আমার যে ধারণা আমার আজকের এই বয়সে এসে সেটা হলও, একটা ফিনিক্স পাখি যেমন ছায় থেকে উঠে এসে ঘুরে দাঁড়াতে পারে ঠিক তেমন আমাদের হাসু আপা ঠিক সেইরকম একজন ফিনিক্স পাখি। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন এমন একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে যেখানে তার বাবাকে জীবনের বেশিরভাগ সময় কারাগারে কাঁটাতে হয়েছে। কিন্তু সেখানে তো আর তিনি থেমে থাকেনি। তিনি সেই সময় থেকেই তার পড়াশুনা চালিয়ে জীবন সংগ্রামে নেমে পরেছিলেন। তার সফলতা কিন্তু তিনি অর্জন করেছিলেন সেই বয়স থেকেই। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় তার পরিবারকে কেন্দ্র করেই একটি বাংলাদেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল যেখানে বঙ্গবন্ধুকে মাঝখানে রেখেই বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে, আমরা একটি নতুন পতাকা পেয়েছি, আমরা একটা মানচিত্র পেয়েছি, আমরা সব কিছু পেয়েছি। সেখানে আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী সেই সময় থেকেই তার জীবনকে দেখেছেন যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। সুতরাং আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, তার যে যুদ্ধ করার মতো প্রবণতা এবং যেকোনো অসফলতাকে ডিঙিয়ে সফলতা অর্জন করা এটা তার একটি সহজাত প্রক্রিয়ার মধ্যে চলে এসেছে।