সরজমিনে দেখা যায়, হঠাৎ করে ধর্মঘট ডাকায় গন্তব্যমুখী মানুষ চরম বিপাকে পড়েছেন। সকালে বিভিন্ন উপজেলা থেকে জেলা শহরের সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনালে এসে সাধারণ যাত্রীরা টিকেট কাউন্টারগুলো বন্ধ দেখতে পায়। বাস কাউন্টারের সামনে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে গন্তব্যে যাওয়া জন্য অপেক্ষা করছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাউন্টারগুলোর সামনে বাড়ছে যাত্রীদের ভিড়। কিন্তু কখন ছাড়বে বাস, নির্দিষ্টভাবে কেউ তা বলতে পারছে না।
তানভীর আহমেদ নামের এক যাত্রী বলেন, আমি তাহিরপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার জন্য সুনামগঞ্জের বাস কাউন্টারে অগ্রিম টাকা দিয়ে টিকেট কেটে রেখেছিলাম। কিন্তু শনিবার রাত ১২টায় কাউন্টার থেকে হঠাৎ ফোন দিয়ে আমাকে জানানো হলো- বাস চলবে না, টিকেটের টাকা ফেরত নেওয়ার জন্য। অথচ আমার ঢাকায় যাওয়া খুব জুরুরি। আমি সকাল থেকে টার্মিনালের সামনে অপেক্ষা করছি। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করে যাত্রীদের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেয়া হোক।
এর আগে শনিবার সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে চলাচলকারী বাস থামিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক।
তিনি জানান, বেশ কয়েক দিন ধরে সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসা-যাওয়ার পথে সিলেটের বাইপাস সড়ক এলাকায় বাসে চাঁদাবাজি করে আসছে একটি চক্র। বিষয়টি অনেকবার সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
যার কারণে সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদি চাঁদাবাজদের এ দৌরাত্ম্য বন্ধ না হয়, তা হলে স্থানীয় সড়কেও গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ভোরের পাতা/কে