প্রকাশ: শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:২৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার জন্মদিন বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ। কারণ জাতির জনকের দুই কন্যা আমাদের মাঝে এখন যদি না থাকতো তাহলে বাংলাদেশের আজকের অবস্থা এখন যেখানে আছে সেখানে থাকতো কিনা?, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া, যুদ্ধাপরাধের বিচার পক্রিয়া হতো কিনা?, বাংলাদেশে গত ১০ বছরে অর্থনৈতিক ভাবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সেটা আদৌ হতো কিনা? সৌভাগ্যক্রমে সেসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেসময় বিদেশে অবস্থান করার কারণে সেদিন সেই নরপশুদের হত্যার শিকার হতে হয়নি।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৬৬তম পর্বে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক, জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, ব্যারিস্টার, লিংকনস ইন লন্ডন (পাবলিক একসেস) ১২ ওল্ড স্কয়ার চেম্বার, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা চৌধুরী হাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
চৌধুরী হাফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার জন্মদিন বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ। কারণ জাতির জনকের দুই কন্যা আমাদের মাঝে এখন যদি না থাকতো তাহলে বাংলাদেশের আজকের অবস্থা এখন যেখানে আছে সেখানে থাকতো কিনা, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া, যুদ্ধাপরাধের বিচার পক্রিয়া হতো কিনা, বাংলাদেশে গত ১০ বছরে অর্থনৈতিক ভাবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সেটা আদৌ হতো কিনা?, এই প্রশ্নগুলো সামনে রেখেই আমি আমার আলোচনা শুরু করতে চাচ্ছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে এদেশের হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার রাজনীতি চালু করা হয়েছিল। এটা চালু করেছিল খুনি জিয়াউর রহমান তার সহচরদের নিয়ে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না এই রকম একটি কালো আইন সেসময় বাস্তবায়ন করা হয়েছিল। আমি প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায় তিনি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর এই কালো আইন বাতিল করে সেদিনের খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করেছে এবং কিছু খুনি এখনো অধরা রয়েছে তাদের আইনি প্রক্রিয়া অথবা কূটনীতিক তৎপরতার মধ্য দিয়ে অচিরেই তাদেরকে বাংলাদেশে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে। আজকে তার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপই বাংলাদেশকে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে গেছে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ উন্নয়নের নতুন মাইলফলক হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশেষ করে ভারী শিল্পের উন্নয়ন এবং পদ্মা সেতু, মেট্রারেলসহ বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাঁর নেওয়া সাহসী পদক্ষেপ বিশ্ববাসীর কাছে প্রশংসিত। শুধু তাই নয়, করোনা ভাইরাসের চলমান মহামারি থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে যেসব উদ্যোগ তিনি নিয়েছেন সেগুলোও অত্যন্ত ফলপ্রদ ভূমিকা রেখেছে। চলমান বৈশ্বিক ভয়াবহ মহামারিতেও অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুহার অনেক কম। দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপগুলো সত্যিই যুগান্তকারী। শেখ হাসিনা জনগণকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে দেশকে বিশ্বসভায় ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ-শান্তিময় দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিন্ধান্ত নিয়ে লাখ লাখ নির্যাতিত মানুষের জীবন রক্ষা করেছেন। মানবতার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে লাখো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন। মানবতার দৃষ্টান্ত দেখিয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় সংবাদ সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস থেকে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।