মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
এমপিওভুক্ত শিক্ষক এক সাথে দুটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতার অভিযোগ
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৯:৩২ পিএম আপডেট: ১৮.০৯.২০২১ ৯:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষক হয়ে এক সাথে দুটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন এক ব্যক্তি। 

অভিযোগ উঠেছে সব হয়েছে প্রভাব খাঁটিয়ে। টাকা নিয়ে ১২ শিক্ষককে চাকরি দেয়ার অভিযোগ আছে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস জেলা শিক্ষা অফিসারের। 

প্রভাব খাটিয়ে একসাথে দুটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন আমিনুল ইসলাম। 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৫ তে ছিটমহল বিনিময়ের পর দাসিয়ার ছড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার হিড়িক পরে। তার ফায়দা নেয় আমিনুল ইসলাম। অভিযোগ আছে মধ্য কাশীপুর দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসায় সহঃ মৌলভী শিক্ষক থাকার পাশাপাশি সুপার হিসেবে চাকরী নেয় বিলুপ্ত দাসিয়ার ছড়া শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসায়। নিয়োগ বাণিজ্যসহ অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩০ জুন ২০১৮ সালে জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল কাদেরের উপস্থিতে আমিনুল ইসলাম স্বহস্তে লিখিত ইস্তেফা দেন তিনি। তবে গেলো জানুয়ারীতে প্রতিষ্ঠান সরকারী ঘোষণা হওয়ার পর থেকে প্রভাব খাটিয়ে আবারো শেখ ফজিলেতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার অফিস কক্ষ দখল করে নেয়াসহ অত্র মাদ্রাসার সুপার শাহনুর আলমের বিরুদ্ধে  মামলা করে প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের পায়তারা করছেন আমিনুল ইসলাম।

মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবেদ আলী বলেন, আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে প্রতিষ্ঠানে আসেন না। শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসায় চাকরির বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি মনিরুজ্জামান মানিক বলেন, আমিনুল ইসলাম আমাদের মাদ্রাসায় সহঃ মৌলভী শিক্ষক পদে চাকরি করে আসছেন। সে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারে না। বিষয়টি দেখে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষকরা বলেন, অত্র প্রতিষ্ঠান সরকারি ঘোষণার পর থেকে আমিনুল ইসলাম মাদ্রাসা এসে অফিস দখল করে নিজেকে সুপার দাবি করে।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা দাখিল মাদ্রাসার সুপার শাহনুর আলম বলেন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগে আমিনুল ইসলাম গত ৩০জুন ২০১৮সালে জেলা শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল কাদেরের উপস্থিতে স্বহস্তে লিখিত ইস্তেফা দেন তিনি। প্রতিষ্ঠান সরকারী ঘোষণা হওয়ার পর থেকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষ দখল করে শিক্ষার ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এখনো মধ্য কাশিপুর দাখিল মাদ্রাসায় চাকরী ছাড়িনি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে আইনি যা করার করতে পারে।

উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার আব্দুল হাই জানান, আমি আসার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমার বরাবর কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি দেখা হবে। 

জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শামছুল আলম জানান, একই ব্যক্তি দুই প্রতিষ্ঠান চাকরি করতে পারে না এর কোন বিধান নেই। বিষয়টি মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নিজেই জানেন এবং তিনি ব্যবস্থা নেবেন।



ভোরের পাতা/কে 



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]