সীমান্তবর্তী শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার বালিয়াচন্ডি, সুরিহারা রাস্তার কোনাগাঁও কাটাখালী নদীর ওপর ভেঙে যাওয়া ব্রিজ নির্মিত হয়নি এক যুগে ও। ফলে স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ এ পথে যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষকে অবর্নণীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অথচ ব্রিজটি নির্মাণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে এলাকাবাসী এই প্রতিবেদককে জানান।
তারা আরো জানান, স্বাধীনতার পর এলজিইডি এ ব্রিজটি নির্মাণ করে। কিন্তু ২০০৮ সালে পাহাড়ী ঢলের পানির তোড়ে ব্রিজটি ভেঙে যায়। ফলে এ রাস্তায় যাতায়াতকারী ১০/১৫ গ্রামের লোজনকে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভেঙে যাওয়া ব্রিজের পার্শ্ব দিয়ে লোকজন বাঁশের সাঁকো বানিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের ব্যবস্থা করে চলাচল করছে। এই সাঁকোতে চলাচল করতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ও ঘটছে। তার পরও ব্রিজটি পুঃননির্মাণ করা হচ্ছে না।
ঘাগড়া গ্রামের বাসিন্দা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব, এম এ ওয়াহেদ, শালচুড়া গ্রামের বাসিন্দা রাজনৈকি ব্যক্তিত্ব আব্দুছ ছালাম, সারিকালিনগর গ্রামের আলহাজ্ব, শরিফ উদ্দিন সরকার, প্রতাব নগর গ্রামের শতবর্ষী ডাঃ আব্দুল বারী, আলহাজ্ব, রেজাউর রহমান সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল প্রমূখ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ জানান, ব্রিজটি নির্মাণের অভাবে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের চরম দুর্ভোগতো পোহাতে হচ্ছেই সেই সাথে বেইলতৈল, সালধা, পাগলারমূখ, সুড়িহারা, দড়িকালিনগর, সারিকালিনগর, পাইকুড়া, জড়াকুড়া, মালিঝি কান্দা, জগৎপুর, কোচনীপাড়া, বালিয়াচন্ডীও কান্দলীসহ ১০/১৫ গ্রামের জনসাধারণকে এই রাস্তায় যাতায়াতে অবর্নণীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ কতৃপক্ষের এ দিকে নেই কোন দৃষ্টি।
এলাকাবাসী জানান, আমাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য, গবাদিপশু পারাপারে এবং লোকজনের যাতায়াতে যে কি পরিমাণ কষ্ট হচ্ছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন চাঁন বলেন, ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে উপজেলা উন্নয়ন-সমন্নয় কমিটির সভায় বার বার আলোচনা করেছি, আশ্বাসও পেয়েছি কিন্তু আজও ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক জানান, ব্রিজটি নির্মাণের ব্যাপারে ডিজাইনের কাজ চলছে। ডিজাইন হয়ে গেলেই ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ বলেন, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ডিজাইন হয়ে গেলেই ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে। খুব একটা দেরী হবে না। এলাকার লোকজনের কষ্ট হচ্ছে এটা ঠিকই। এখন কি আর করা যাবে। সরকারী নিয়মের বাইরেতো কিছু করা যাবে না।
ভোরের পাতা/কে