বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) শুরু হচ্ছে জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ডমাস্টার্স দাবা টুর্নামেন্ট।
আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত জানিয়েছেন, প্রতি বছরই হবে এ টুর্নামেন্ট।
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন আয়োজিত জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক গ্র্যান্ডমাস্টার্স দাবা টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের দুই দিন আগে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
টুর্নামেন্টের বিস্তারিত জানাতে শুক্রবার দুপুরে বনানীর হোটেল শেরাটনে আয়োজন করা হয় সংবাদ সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক সচিব ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহসভাপতি এবং কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ফেডারেশনের সহসভাপতি কে এম শহীদুল্লাহ্, দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শোয়েব রিয়াজ আলম।
প্রধানমন্ত্রীর নামে কেন টুর্নামেন্ট, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুকন্যা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খুব কমসংখ্যক নেতা আছেন, যারা ৩৮ বছর ধরে রাজনীতিতে আছেন। বাংলাদেশে গত ১২ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য।
তিনি বলেন, আমি তার সঙ্গে অনেক দেশে গিয়েছি। দেশের বাইরে তার জন্য যে সম্মান বা শ্রদ্ধা সেটা দেখেছি। তার নামে আয়োজিত একটি টুর্নামেন্টের অংশ হতে পেরে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ আনন্দিত।
দাবার সঙ্গে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের সম্পৃক্ততার ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। সে জন্য তাদের মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা খুবই জরুরি।
দাবা এমনই একটি খেলা, যার মাধ্যমে মানসিক এবং শারীরিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যায়। দাবা যৌক্তিক, জ্ঞানভিত্তিক এবং মেধাভিত্তিক একটি খেলা। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে মেধাভিত্তিক খেলার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তিনি বলেন, আমাদের উপমহাদেশে ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় দাবা খেলায় এগিয়ে আছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দাবাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখা একান্ত প্রয়োজন।
এ জন্যই আমরা এ রকম কঠিন সময়ে দাবায় অগ্রগতির লক্ষ্যে সামাজিক উন্নয়ন ও দেশের মানুষকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সার্বিকভাবে সরকার ও দেশকে সহযোগিতার লক্ষ্যে এ রকম একটি উদ্যোগ নিয়েছি।