মার্কিন সরকার যাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী বা ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধী মনে করে সেইসব দেশের প্রতিনিধিদের ওপর ভিসার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাখে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ইরান ও রাশিয়াসহ ওই ৬ টি দেশ যৌথ চিঠি দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রম ও বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনের বিরোধী দেশগুলোর প্রতিনিধিদেরকে নানাভাবে হয়রানি করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বিরোধী দেশগুলোর প্রতিনিধিদের ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক হয়রানি ও এত বেশি কড়াকড়ি আরোপ করা হয় যাতে তারা জাতিসংঘরে কার্যক্রমে অংশ নিতে না পারে বা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।
এ কারণে ইরানসহ ওই ৬ টি দেশ তাদের চিঠিতে বলেছে, জাতিসংঘ অনুচ্ছেদের ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী এই সংস্থায় সব দেশের সমান অধিকার রয়েছে এবং এখানে নির্দিষ্ট কোনো দেশের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ বা কোনো কিছুতে কাউকে বাধ্য করার সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাবে মার্কিন সরকার সব দেশকে এ প্রতিশ্রুতি দেয় যে ভ্রমণ সুবিধা বা ভিসা সংক্রান্ত কোনো সমস্যা নিরসনের জন্য নিরপেক্ষ আদালত গঠন করা হবে এবং সবার সমান সুবিধা থাকবে।
৬ টি দেশের চিঠিতে বলা হয়েছে এ বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবে আইন স্পষ্ট এবং কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা জাতিসংঘ মহাসচিবকে দেয়া হয়েছে। তাই ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিভিন্ন দেশকে যে হয়রানি করছে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া জাতিসংঘ মহাসচিবের দায়িত্ব বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।
ভোরের পাতা/অ