শেখ হাসিনার আজীবন ছায়াসঙ্গী শেখ রেহানা: ড. ওয়ালি-উর রহমান
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:০৪ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
বঙ্গবন্ধু কন্যাদ্বয়ের জন্মদিন নিয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। যদিও আমরা ব্যথিত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে নিহত তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের মৃত্যুতে। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে! বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করার জন্য, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করার জন্য তার দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যখন ফের ক্ষমতায় আসলো তারপর থেকে এপর্যন্ত দীর্ঘ পরিশ্রম করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী এবং তার প্রত্যেকটা কাজে ছায়া হিসেবে তার পাশে আছেন ছোট বোন শেখ রেহানা এবং একটা শক্তি হিসাবে তার সাথে সব সময় একসাথে থাকেন এবং সেভাবেই সহযোগিতা করে আসছেন।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৬৫তম পর্বে শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ড. ওয়ালি-উর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আফজাল হোসেন, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে, ফরিদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্যের রাজনৈতিক প্রতিনিধি শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
ড. ওয়ালি-উর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় জেনেভাতে যখন বঙ্গবন্ধু এখানে আসলেন ১৯৭২ সালের আগস্ট মাসে। সে সময় তার সাথে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দুজনই ছিলেন তার সাথে। প্রায় ২২-২৩ দিন ছিলেন তারা সেখানে। সে সময় আমি এবং আমার স্ত্রী বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতাসহ তাদের পরিবারের কি কি খাবার খাওয়াতে হবে সে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলাম। তখন আমি একটা বিষয় খেয়াল করেছি যে ভাবি যেসময় বঙ্গবন্ধুর খাবারের কথা বলতেন তখন তার দুই কন্যাকে স্মরণ করতেন, তাদেরকে ডাকতেন। আমি যেটা দেখেছি যে, শেখ রেহানা অনেক নরম মনের মানুষ। অন্যদিকে শেখ হাসিনাকে দেখেছি তার মায়ের কাজে সব সময় হাত বুলাতেন। এই দুবোনের জন্মমাসটাও একই। হয়তো এটা কাকতালীয় কিন্তু আমি বলবো শেখ হাসিনার নিরন্তর ছায়াসঙ্গি শেখ রেহানা। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান শেখ রেহানা। যার পিতা একটি দেশের জাতির পিতা। যার বড়বোন চারবারের প্রধানমন্ত্রী অথচ ক্ষমতার বিন্দুমাত্র প্রভাব নেই তার জীবনে। ক্ষমতার মোহ তাকে ছুঁতে পারেনি, যেমন পারেনি বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে। বরং বড়বোন শেখ হাসিনাকে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য উৎসর্গ করে দিয়ে তিনি সময় দিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে। নিজের ও বড়বোনের ছেলে-মেয়েদের গড়ে তুলেছেন মাতৃস্নেহে। শেখ হাসিনা আসলে শেখ রেহানার সঙ্গ সব সময় পছন্দ করতেন। যখন কোন অনুষ্ঠানে ছবি তোলা হতো তখন যদি শেখ রেহানা না থাকতো তখন শেখ হাসিনা আশপাশে যারা থাকতো তাদেরকে ডেকে বলতেন শেখ রেহানাকে ডেকে দিতে। আসলে এটাই এখানে আমাদের বুঝার বিষয় যে সেই ১৯৭২ সালের সময়ে তাদের দুই বোনকে আমি যেভাবে দেখেছি আজ এতো বছর পর তাদের মধ্যে যে একটা স্প্রিচুয়াল বন্ধন তার মধ্যে একবিন্দুও ফাটল ধরেনি বরং সময়ের তারতম্যে সেটা আরও অধিক শক্ত হয়েছে।