রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
যে শহরের বাসিন্দারা অফিসে যান বিমানে করে!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:১০ এএম | অনলাইন সংস্করণ

শহরে বসবাসরত সবার বাড়িতেই বিমান আছে। তা দিয়ে কেও যাচ্ছেন কাজে। কেউবা মনকে হালকা করতে বেরিয়ে পড়ছেন বিমান নিয়ে। এ এমন এক শহর যেখানে অলিগলি, ছোট-বড় রাস্তা বলে কিছুই নেই। একটাই পথ- তার পুরোটাই রানওয়ে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত এই শহরটির নাম ক্যামেরন পার্ক। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত এই এলাকা আসলে মার্কিন সরকারের নথিভুক্ত কোনো শহর হয়। সবাই একে ফ্লাই-ইন রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিটি হিসেবেই চিনে। সোজা কথায় এটি একটি এয়ারপার্ক। এই ধরনের কমিউনিটি মূলত বিমানপোতে গড়ে ওঠে।

বিভিন্ন মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে দেখা যায়, শহরকে দুইভাগে ভাগ করে একটি রানওয়ে। বিমান অনায়াসে সেখানে ওঠানামা করতে পারে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের বহু বিমানপোত অকেজো হয়ে পড়েছিল। একইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত পাইলটের সংখ্যাও ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছিলো। পাইলটের সংখ্যা ১৯৩৯ সালে ৩৪ হাজার থেকে বেড়ে ১৯৪৬-এ ৪ লাখে গিয়ে ঠেকে।

যুদ্ধে অংশ নেওয়া অবসরপ্রাপ্ত পাইলটদের আরামের অবসর দিতেই ফ্লাই-ইন রেসিডেন্সিয়াল কমিউনিটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন কর্তৃকপক্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ অকেজো বিমানপোতগুলো ঠিক করে অবসরপ্রাপ্ত বিমানচালকদের থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। চেনা পরিচিত পরিবেশে থাকতে পাইলটদের ভালো লাগবে, এই ধারণা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

১৯৬৩ সালে সেই ভাবনা থেকেই তৈরি হয়েছিলো পার্কটি। একসময় নাম ছিলো ক্যামেরন পার্ক এয়ারপোর্ট। সেই নাম বদলে হয় ক্যামেরন পার্ক এয়ারপার্ক। শহরের প্রতিটি পরিবারেরই কোনও না কোনও সদস্য একসময় পাইলট বা বিমানচালক ছিলেন।

ক্যামেরন পার্ক এয়ারপার্কে হাতে গোনা ১২৪টি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে ২০টি বাড়ি ফাঁকা পড়ে রয়েছে।

সেই সব বাড়ি সস্তায় বেঁচেও দিচ্ছেন অনেকে। ফেব্রুয়ারি মাসেই এমন একটি বাড়ির বিজ্ঞাপন প্রকাশ্যে আসে। ইন্টারনেটে দেওয়া সেই বিজ্ঞাপনে প্লেনের হ্যাঙ্গারসহ বাড়িটির দাম চাওয়া হয়েছিল মাত্র ৬ লাখ ৮৫ হাজার ডলার!

তবে ক্যামেরন পার্কের অধিকাংশ বাসিন্দা আরামেই আছেন। ছোট্ট শহর এ সুবিধার কমতি নেই। স্কুল, বাজার, হাসপাতাল, এমনকি শপিংমলও রয়েছে। আর যদি কিছু না পাওয়া যায় তা হলেই বা চিন্তা কীসের। প্লেনে চড়ে কাছের শহরে চলে যাওয়া তো মিনিট কয়েকের ব্যাপার মাত্র!



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]