প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:৫৫ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
আমরা ভেবেছিলাম যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগে খুলবে এবং পরবর্তীতে স্কুল-কলেজ খুলবে, কিন্তু সরকার এখানে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে আগে স্কুল-কলেজ খুলেছে। আমরা মনেকরি স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রেও কতিপয় অভিভাবক ব্যতীত প্রায় সকলের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে ব্যাপক আগ্রহ। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা ছিল অত্যাধিক সতর্ক।
দৈনিক ভোরের পাতার নিয়মিত আয়োজন ভোরের পাতা সংলাপের ৪৬৪তম পর্বে বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এসব কথা বলেন আলোচকরা। ভোরের পাতা সম্পাদক ও প্রকাশক ড. কাজী এরতেজা হাসানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, জার্মান আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আহমেদ সেলিম, কবি ও শিক্ষক আয়শা জাহান নূপুর। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভোরের পাতার বিশেষ প্রতিনিধি উৎপল দাস।
আয়শা জাহান নূপুর বলেন, আমরা প্রায়শই একটা কথা বলি যে, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে। দীর্ঘ দেড় বছর পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফের যে প্রাণ চঞ্চলতা ফিরে এসেছে। আমরা জানি গতবছর ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরে ১৭ মার্চ ঘোষণা হলও ১৮ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে যাতে করে শিক্ষার্থীরা যাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হতে পারে। একেবারে প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত যখন সকল ক্লাস খুলে দেওয়া হলেও তখন যারা উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের কাছে তাদের ক্লাস কিন্তু আর নতুন কিছু নয়, কিন্তু যে প্রথম শ্রেণির ছাত্র তার কাছে কিন্তু এটা একেবারেই এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। যে সকল এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে সে সকল এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখুন। কোন এলাকায় করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে বন্ধ না করে কেবল সেই এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখুন এবং সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলে পুনরায় খুলে দিন। এভাবেই পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো অঞ্চল ভিত্তিক ট্রায়েল এন্ড এরর ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে হবে আমাদেরও। দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিশুদের মানসিক ও শারীরিক যেমন বিরূপ প্রভাব পড়েছে তেমনি অনেক শিশু বিপথে গেছে। আবার শ্রমজীবীসহ ঝরেপড়া শিশুর সংখ্যা নেহাত কম হবে না। তাই এসব শিশুকে স্কুলমুখী করতে হবে। শিশুদের একটি অংশ সমাজের বখে যাওয়াদের সঙ্গে মিশে নেশাগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি গ্যাংগিং কালচারে অনেকে নাম লিখিয়েছে। সব মিলিয়ে ঝরেপড়া শিশুদের একটি বড় অংশকে যে কোনো মূল্যে স্কুলে ফেরাতে হবে। এজন্য সরকারের আলাদা নজর দেওয়া প্রয়োজন।