প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:৩৮ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
করোনার টিকা নিতে এসে হেনস্থার শিকার হয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। টিকা নেয়া শেষে কার্ডে সিল না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে হেনস্থার শিকার হয়েছেন সেই শিক্ষার্থী। এ অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রে থাকা টিকাকর্মী সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শারাফাত সিজান বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
সিজান বলেন, দুপুর ২টায় তিনি টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেন। টিকা নেয়া শেষে দেখেন টিকা কার্ডে টিকা প্রাপ্তির কোনো সিল নেই। শুধু ইংরেজিতে 'm' লেখা রয়েছে।
শুধুমাত্র একটি ইংরেজি অক্ষর লেখা দেখে সিজান দায়িত্বরত টিকাকর্মী সাব্বিরকে জিজ্ঞেস করলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন এবং এক পর্যায়ে তাকে মারতে উদ্যত হয়। কিন্তু সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি দেখেও চুপ ছিলেন। তারপর প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিবাদ করলে সিজান সেখান থেকে চলে আসেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু আমার সঙ্গে নয় লাইনে দাঁড়ানো অনেকের সঙ্গে সাব্বির হোসেন দুর্ব্যবহার করছেন। কিন্তু সবাই বিষয়টা দেখেও চুপ করে থাকেন।
আমি তাকে জিজ্ঞাস করি, ভাই আমার কার্ডে সিল মারা হয়নি। সিল কি না থাকলেও চলবে? এতেই সাব্বির আমার উপর রেগে গিয়ে দুর্ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন বলেন, বিষয়টি খুবই অনাকাঙ্খিত। এমন ঘটনার বিষয়ে আমার কাছে এমন কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।
তিনি আরো বলেন, আমি আজ অফিসেই ছিলাম। ওই শিক্ষার্থী আমাকে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমাদের টিকা প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের দুর্ব্যবহার করার অধিকার ওনাদের নেই।
শিক্ষামন্ত্রণালয় ও ইউজিসি থেকে তেমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারপরও যদি তারা এমনটা করে থাকেন আমরা সিভিল সার্জনের সঙ্গে কথা বলে একটা ব্যবস্থা নিবো।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। পূর্বে টিকা নেয়া অনেককেই এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকি তাদের নারী টিকা কর্মীদের বিরুদ্ধেও টিকা প্রত্যাশী সাধারণ জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে।