প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:৫১ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদের শুরুর দিকে প্রণীত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর বিশেষ আইনের মেয়াদ আরও ৫ বছর চালাতে সংসদে বিল পাস হয়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ উত্থাপন করা হয়েছিল। তার একদিন পরই বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা পাস হয়।
বিলটি সংশোধনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস হতে দেশের মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার লক্ষ্যে এখাতে দ্রুত অধিক সংখ্যক প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের চলমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিদ্যুৎ সঙ্কট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর এটা করার জন্য ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’। শুরুতে দুই বছরের জন্য এই আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। আবারও পাঁচ বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর এটি পাস হলো। ২০১০ সালে প্রণীত আইনটির মেয়াদ সর্বশেষ তিন বছর বাড়িয়ে মেয়াদ ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলায় অতি দ্রুত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের তাৎক্ষণিক পরিকল্পনায় তিন বছর, পাঁচ বছর ও ১৬ বছর মেয়াদি ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন শুরু করে। এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে নতুন আইনটি করা হয়।
বিলটি পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা এর বিরোধিতা করেন। তাদের অভিযোগ, জনগণের করের টাকা ‘অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য’ এই আইন করা হচ্ছে।