লন্ডনের দৈনিক টেলিগ্রাফে এক রিপোর্টে এ খবর প্রথম বের হয়। এমন এক সময় এ ঘটনা ঘটলো যখন দুই দেশের সরকারের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
এ বছর মার্চ মাসে চীন পাঁচজন ব্রিটিশ এমপি এবং লর্ডসভার দুজন সদস্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং সম্পদ জব্দ করে। এর আগে চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লংঘনের জন্য চীনা কর্মকর্তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ব্রিটেন- তার জবাবেই বেজিং এ পদক্ষেপ নেয়।
এটা সত্ত্বেও চীনা পার্লামেন্টারি গ্রুপ তাদের গ্রীষ্মকালীন পার্টিতে ঝেংকে আমন্ত্রণ জানায়- যা টেমস নদীর তীরে কমন্স টেরাস প্যাভিলিয়নে অনুষ্ঠিত হবার কথা।
গত সপ্তাহে চীনা নিষেধাজ্ঞার শিকার পাঁচ কনসারভেটিভ এমপি- স্যার ইয়ান ডানকান-স্মিথ, টম টুগেনহাট, নুসরাত গনি, নীল ও'ব্রায়েন এবং টিম লাউটন- স্পিকারকে এক চিঠি লিখে তাদের উদ্বেগের কথা জানান। লর্ড সভার দুই সদস্য লর্ড এ্যালটন এবং লেবার পার্টির ব্যারনেস কেনেডিও স্পিকারের কাছে চিঠি লেখেন।
তারা বলেন, চীন সরকার যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা "শুধু ব্রিটিশ এমপিদের লক্ষ্য করেই নয়, পুরো পার্লামেন্ট, এর সকল সদস্য, সিলেক্ট কমিটি ও পার্লামেন্টারি সুযোগ-সুবিধার ওপরই এক আঘাত।"
তারা বলেন, "আমরা কখনাই এ ধরনের পদক্ষেপকে বৈধতা বা উৎসাহ দেবার জন্য কাউকে ব্রিটেনের পার্লামেন্টকে ব্যবহার করতে দিতে পারি না।"
তারা বলেন, এমপিরা যখন চীনা নিষেধাজ্ঞার শিকার তখন চীনের রাষ্ট্রদূত মুক্তভাবে ওয়েস্টমিনস্টারে আসতে পারবেন - এটা অচিন্ত্যনীয়।
এমপি নুসরাত গনি চীনা রাষ্ট্রদূতের ওপর "নজিরবিহীন" নিষেধাজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে বিবিসিকে বলেছেন, "এমপিদের নিষিদ্ধ করা পার্লামেন্ট ও আমাদের গণতন্ত্রের প্রতি সরাসরি হুমকি।"
এক বিবৃতিতে স্পিকার স্যার লিন্ডসে হয়েল বলেন, তার সাথে রাষ্ট্রদূতদের নিয়মিতই বৈঠক হয়ে থাকে।
কিন্তু তিনি বলেন, "চীনা রাষ্ট্রদূতের কমন্সসভার প্রাঙ্গণে ও আমাদের কর্মস্থলে আসা উচিত হবে না - যেহেতু তার দেশ আমাদের কয়েকজন সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।"
"এসব নিষেধাজ্ঞা যদি উঠে যায়, তাহলে এটা আর কোন সমস্যা হবে না।" সূত্র: বিবিসি বাংলা