রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
স্বাধীনতার পর থেকেই দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত মাহফুজ আনাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৭:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

মাহফুজ আনাম একাধারে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রকারী, একুশে আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার অন্যতম কুশীলব, অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমস্ত কূটচাল ও এজেন্ডা নির্ধারক, পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্বব্যাপী ষড়যন্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম হোতা। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন এই মাহফুজ আনাম। তবে তার মুখোশ উন্মোচিত হয় ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এলে। তিনি ছিলেন এককথায় ওই অগণতান্ত্রিক সরকারের প্রাণভ্রোমরা। 

মূলত, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকেই বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হন মাহফুজ আনাম। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তার অপতৎপরতা আরো বাড়তে থাকে। বিদেশে বিভিন্ন এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করার সময় তিনি বারবার বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছেন। বাংলাদেশবিরোধী শক্তিগুলোর সঙ্গে যোগসাজস রেখে ১৯৯১ সালে মাহফুজ আনাম যুক্ত হন ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারে। সেই থেকে একের পর এক বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী প্রপাগান্ডার নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

হীন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার মিশনে নামেন তিনি। ২০০৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ফখরুদ্দীন আহমদের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে বিশেষ অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে পাঠানো হয় ডেইলি স্টারের পদস্থ নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মোনায়েমকে। সেনা শাসনের পুরো সময়জুড়ে সেনা সমর্থিত অগণতান্ত্রিক, একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসনকে স্বাগত জানিয়ে এবং উল্টোদিকে গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে গালমন্দ করে ডেইলি স্টারে বড় বড় নিবন্ধ ছাপেন।

মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই মাহফুজ আনাম বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুর্নীতিবাজ হিসেবে চিহ্নিত করে নিজের পত্রিকায় রায় দিয়ে গেছেন। সুযোগ বুঝে দেশের দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলে ভাঙন ধরানোর অপকৌশলে লিপ্ত হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় পাকাপোক্ত করতে চালান নানামুখী অপতৎপরতা। একইসঙ্গে দেশের প্রায় সব শিল্পপতিকে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে হেনস্থা করতে শুরু করেন ডেইলি স্টারের মাধ্যমে। 

শুধু তাই নয়, একপর্যায়ে রাজনীতিতে নামারও শখ হয় মাহফুজ আনামের। তখন দেশের রাজনীতিতে আবির্ভাব আরেক কুশীলব ড. মোহাম্মদ ইউনূসের। শান্তিতে নোবেল পেলেও দেশে অশান্তি ছড়ানোর মন্ত্র নিয়ে মাহফুজ আনামের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাঠে নামেন। এক-এগারোর খালি মাঠে নতুন দল গঠনের ঘোষণা দেন। সেনাবাহিনীর সমর্থনে সুশীল সরকার প্রতিষ্ঠার সেই ষড়যন্ত্রও জনগণ ভন্ডুল করে দেয়। 

২০০৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক বিজয়ের পর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হয় মাহফুজ আনাম সিন্ডিকেটের নতুন ষড়যন্ত্র। পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধের ষড়যন্ত্রে ড. ইউনূসের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন মাহফুজ আনাম। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সেতু নির্মাণ প্রকল্পের অর্থায়ন বন্ধে বিশ্বব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন তারা। নিজের পত্রিকায় ক্রমাগত মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশকে দুর্নীতিবাজ আখ্যা দেওয়ার ষড়যন্ত্রের খলনায়কও তিনি। ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সেতু নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির মিথ্যা দাবি তুলে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের বাস্তবায়ন করা হয়। এর ফলে শুধু বিশ্বব্যাংক নয়, জাইকা, এডিবিসহ দাতাসংস্থাগুলো মুখ ফিরিয়ে নেয়। খোদ সরকারের বিরুদ্ধেই পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। যদিও শেষপর্যন্ত দুদকের অনুসন্ধানে ওইসব অভিযোগের বিন্দুমাত্র সত্যতা মেলেনি। 

দুদকের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু এক সাক্ষাতকারে পদ্মা সেতু ইস্যুতে মাহফুজ আনামের ষড়যন্ত্রের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করেন। চুপ্পু বলেছিলেন, “নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সরকার পতন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো মাহফুজ আনাম সিন্ডিকেট। পদ্মাসেতু সরকারের সবচেয়ে বড় প্রকল্প হওয়ায় এই সিন্ডিকেটের প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো এই সেতুকে ইস্যু বানিয়ে আওয়ামী লীগকে যে কোনভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে ক্ষমতাচ্যূত করা। এর জন্য দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্রের সঙ্গে প্রকাশ্যে অবস্থান নিয়েছিলো ডেইলি স্টার সম্পাদক। 

এদিকে, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ মৃত্যুর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাতকারে পদ্মা সেতু নিয়ে চারজন ষড়যন্ত্রকারীর নাম উল্লেখ করেন। তাদের মধ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মাহফুজ আনাম অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী বলে দাবি করেন।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]