সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

শিরোনাম: বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে সুইজারল্যান্ড বানানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন: তাজুল ইসলাম   ইংরেজি নববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা   করোনায় মৃত্যু কমেছে, শনাক্ত বেড়েছে    আরও ৩ জনের ওমিক্রন শনাক্ত   শপথ নিলেন নতুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী   বাস সরাতে গিয়ে দুই মৃত্যু: সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা   আন্দোলনের বিকল্প নেই, ফয়সালা রাজপথেই হবে: ফখরুল   
https://www.dailyvorerpata.com/ad/Inner Body.gif
শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসছে ফেসবুক টুইটার ইউটিউব
ভোরের পাতা ডেস্ক
প্রকাশ: সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:২৯ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো এক সময় বাংলাদেশকে তেমন পাত্তা দিত না। এখন তারা আমাদের কথা শুনছে, নিয়মিত বৈঠক করছে। এমনকি বাংলাদেশের  আইন মেনে ভ্যাট-ট্যাক্সও দিচ্ছে তারা। সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়, যখন ফেসবুকসহ এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসবে।

যদিও বিষয়টি আমাদের জন্য বড় একটি চ্যালেঞ্জ। তারপরও এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বর্তমান সরকার। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ‘সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী’সহ বিভিন্ন রকম ‘আপত্তিকর’ কনটেন্ট ছড়ানো হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকার কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে গতকাল ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উল্লিখিত কথাগুলো বলেন।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এই মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এসব বিষয়ে এখন আমরা অনেক দক্ষতা অর্জন করেছি। আমরা এখন জানি বিদেশ থেকে কারা এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেজবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল।

সেখানে কিছু দাবি তুলে ধরাসহ সার্বিক বিষয়ে কথা হয়েছিল। তারাও এসব বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। বর্তমানে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এমন পর্যায়ে এসেছে যে তারা প্রতি সপ্তাহে আমাদের সঙ্গে বৈঠক করে, প্রতিদিন কথা হচ্ছে। যে সব বিষয়ে রিপোর্ট করি সে বিষয়েও রেসপন্স করছে। ফেসবুকের বিষয়ে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন মহিলা কর্মকর্তা রয়েছেন, সিঙ্গাপুর ও দিল্লিতে একজন করে কর্মকর্তা রয়েছেন তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে আমাদের বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নানা বিষয়ে কথা হচ্ছে। এক সময় হয়তো তারা আমাদের কোনোটাই পাত্তা দিত না। এখন অনেক ভালো জায়গায় এসেছে। ’
ফেসবুক কর্র্তৃপক্ষের এক সময় বাংলা বোঝার মতো লোক ছিল না উল্লেখ করে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, একসময় ফেসবুকের বাংলা ভাষা বোঝার মতো লোক ছিল না, বাংলা কনটেন্ট সরাতে পারত না। এখন তাদের বাংলা ভাষা বোঝার মতো লোক রয়েছে। তারা বাংলা কনটেন্ট বুঝতে পারে এবং তা সরাতেও পারছে।

এখন তাদের সঙ্গে আমাদের সরাসরি ফোনেও যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা মনিটরিং ব্যবস্থাটাকে সম্প্রসারণ করেছি বিটিআরসির মাধ্যমে। আরও কিছু যন্ত্রপাতি সংগ্রহের চেষ্টা করছি। এর ফলে আমি আশা করছি যে সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়, যখন আমরা মোটামুটি এদের ভালো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারব। এখন যে অবস্থায় আছে, সেটা মোটামুটি একটা নিয়ন্ত্রণের ভিতর। কিন্তু আমাদের জন্য অত্যন্ত হুমকির বিষয় হলো জেএমবি, আইএস, তালেবান যাই বলি না কেন তারা প্লাটফরম হিসেবে এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে। অনেকে ব্যক্তিগতভাবেই সরকারের শীর্ষ ব্যক্তি থেকে শুরু করে মন্ত্রী, এমপিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্লাটফরম হিসেবে এসব ব্যবহার করছে। নিয়মিত গণমাধ্যমে এসব অপকর্ম করা যায় না। এসব নিয়ন্ত্রণে তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত কথা হচ্ছে। এক সময় পাত্তা না দিলেও এখন নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। তারা আমাদের ভ্যাট-ট্যাক্সও দিচ্ছে।

এই আইটি বিশেষজ্ঞ আরও বলেন-ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ সোশ্যাল মিডিয়া এখন বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। আমাদের দেশে ফেসবুকের প্রায় ৪ কোটি ইউজার রয়েছে। ইউটিউবের হয়তো এত নেই। বাংলাদেশ জন্মের শুরু থেকেই কিছু লোক বিরোধিতা করেছে, এখনো করছে। দেশের ভিতরে যেমন রয়েছে, তেমনি বিদেশেও রয়েছে। তারা কখনো নীরব ছিল না। তারা পরিকল্পিতভাবে সরকার ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের এবং সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িকতার বিষয়ে ইচ্ছামতো প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। দেশে এ ধরনের কাজ করলে সহজেই চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পারি। কিন্তু যারা বিদেশে বসে এসব করছে তাদের ধরাই বড় চ্যালেঞ্জ। আবার এসব ব্যক্তির অ্যাকাউন্টও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুয়া হয়ে থাকে। ফলে তাদের শনাক্ত করাও কঠিন। তারা ইচ্ছামতো নাম দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে এসব প্রচারণা চালাচ্ছে। ফলে এটি শনাক্ত করাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও আমাদের আইসিটি ডিভিশন, বিটিআরসি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিছু বিষয়ে সুফলও পেয়েছি আমরা।

ইচ্ছা করলে টোটাল সোশ্যাল মিডিয়া ‘শাট ডাউন’ করতে পারি উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী’সহ বিভিন্ন রকম ‘আপত্তিকর’ কনটেন্ট প্রচারকারী, ওয়েবসাইট, পেজ বা অ্যাকাউন্ট আমরা বাংলাদেশে যে কোনো মুহূর্তে বন্ধ করতে পারি, কিন্তু বাইরের দেশে নয়। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২২ হাজার পর্নো সাইট ও ৬ হাজার ভুয়া সাইট বন্ধ করেছি। এ ছাড়া ১১০০-এর বেশি ক্ষতিকর ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। সেগুলো দেশের অখন্ডতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করি। দেশের কোনো অ্যাকাউন্ট, সাইট, ইউটিউব চ্যানেল থেকে দেশবিরোধী কনটেন্ট, ব্যক্তিবিরোধী, সম্মানহানিকর কোনো তথ্য বা এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হয়ে থাকে।



« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Vorer-pata-23-12-23.gif
http://www.dailyvorerpata.com/ad/bb.jpg
http://www.dailyvorerpata.com/ad/Screenshot_1.jpg
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ


সম্পাদক ও প্রকাশক: ড. কাজী এরতেজা হাসান
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
সাউথ ওয়েস্টার্ন মিডিয়া গ্রুপ


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম


©ডেইলি ভোরের পাতা ডটকম

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৯৩ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫।
ফোন:৮৮-০২-৪১০১০০৮৭, ৪১০১০০৮৬, বিজ্ঞাপন বিভাগ: ৪১০১০০৮৪, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৪১০১০০৮৫
অনলাইন ইমেইল: [email protected] বার্তা ইমেইল:[email protected] বিজ্ঞাপন ইমেইল:[email protected]