কেবল সাংবাদিক নেতাদের তথ্য চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের হয়তো মনে হয়েছে নেতারা শুধু দাবিদাওয়া জানায়, কী অবস্থায় (তারা) আছে দেখি। দল-মত নির্বিশেষে সব নেতার তথ্য তারা চেয়েছে।
এ বিষয়ে প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান বলেন, আমি জানি না কেন আমার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। আমার ব্যাংক হিসাবের তথ্য দেখে, যারা চেয়েছে তারা লজ্জা পেতে পারে। আমার একটা টাকাও নেই।
এর আগে ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এই সাংবাদিক নেতা লেখেন, আমার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। যাঁরা চেয়েছেন, তাঁরা লজ্জা পেলে আমি দায়ী নই।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সভাপতি মোরসালীন নোমানী বলেন, কেন হিসাব চাওয়া হয়েছে সেটা আমিও জানি না। আমি সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে আমার ব্যাংক হিসাব, স্টেটমেন্ট, কত টাকা আছে, কত টাকা ঋণ সবকিছু জানাব। অন্য কাউকে টার্গেট করতে গিয়ে হয়তো আমাকেও করেছে।
মোরসালীন নোমানীও বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লেখেন, আমার নামটি দেখে খুবই বিস্মিত হয়েছি। এখানে আমার বক্তব্য হচ্ছে, আমাকে যারা ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করেন না, তারাও আমার আর্থিক সততা নিয়ে প্রশ্ন করেন- এটা আমি বিশ্বাস করি না। তা ছাড়া স্ত্রী অসুস্থসহ পারিবারিক কারণে ব্যাংকে আমি অনেক টাকা ঋণগ্রস্ত। যেসব নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সেই তথ্য সংগ্রহ করার পর, তা যেন জনসম্মুখে অবশ্যই প্রকাশ করেন, সেই জোর দাবি জানাচ্ছি।
ডিআরইউয়ের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ব্যাংক হিসাব তলবের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলব। এর মধ্যে আমার নামটিও রয়েছে। আমার ব্যাংক হিসাব খুঁজে যা পাওয়া যাবে তাতে রাষ্ট্রের লজ্জা পেতে হবে। কারণ টানা ২০ বছর (এক দিনের জন্যও বেকার ছিলাম না) ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ বিটে রিপোর্টিং করার পরেও ব্যাংকে ২ লাখ টাকাও জমা নেই।
৫ লাখ টাকার একটি ঋণ রয়েছে জানিয়ে তিনি লিখেছেন, উল্টো ইবিএলে একটা ৫ লাখ টাকার পারসোনাল লোন রয়েছে। ২০ হাজার টাকার ভাড়া বাসায় থাকি। নিজের একটা বাহন নেই। জমাজমির যতটুকু মালিক পুরোটাই পৈতৃক সূত্রে।
তিনি লিখেছেন, এমন একজনের পেছনে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ব্যবহার করে শক্তি অপচয়ের কোনো মানে হয় না। এসব তথ্য আমার কাছে চাইলেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছে দিতে পারতাম।